Non Performing Asset

গত ৯ বছরে ব্যাঙ্ক থেকে মোছা হয়েছে সাড়ে ১৪ লক্ষ কোটির ঋণ, লোকসভায় জানাল কেন্দ্র

অনাদায়ি ঋণ মুছে ফেলা নিয়ে মোদী সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের চাপানউতোর নতুন নয়। বিরোধীদের অভিযোগ, চড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বে কাহিল সাধারণ মানুষ আর্থিক ভাবে কোনও সুরাহা পাচ্ছেন না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৩ ০৭:৩১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

গত ২০১৪-১৫ থেকে শুরু করে ন’টি অর্থবর্ষে নথিভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি হিসাবের খাতা থেকে মোট ১৪,৫৬,২২৬ কোটি টাকার অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) মুছে দিয়েছে বলে লোকসভায় জানাল কেন্দ্র। আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত কারাড বলেছেন, এই পুরো অঙ্কের মধ্যে বড় শিল্পের ঋণ মোছা হয়েছে ৭,৪০,৯৬৮ কোটি টাকার।

Advertisement

অনাদায়ি ঋণ মুছে ফেলা নিয়ে মোদী সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের চাপানউতোর নতুন নয়। বিরোধীদের অভিযোগ, চড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বে কাহিল সাধারণ মানুষ আর্থিক ভাবে কোনও সুরাহা পাচ্ছেন না। উপরন্তু ঘাড়ে ঋণ থাকলে না খেয়েও অনেকে চড়া সুদে তা মাসে মাসে শোধ করে যেতে হচ্ছে। অথচ এনপিএ মুছে ‘বন্ধু পুঁজিপতিদের’ সাহায্য করে চলেছে কেন্দ্র। সরকারের অবশ্য বক্তব্য, অনাদায়ি ঋণ মোছা মানেই খেলাপিদের ছাড় দেওয়া নয়। সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতার থেকে সেগুলি উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলতে থাকে।

আজ কারাড জানান, ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩-এর মার্চ পর্যন্ত মুছে দেওয়া ঋণের মধ্যে ২,০৪,৬৬৮ কোটি টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে ব্যাঙ্কগুলি। অর্থাৎ, ১৪% ফেরানো গিয়েছে। এই হার নিয়েও সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মুছে দেওয়া নিট ঋণ (মুছে দেওয়া ঋণ এবং তার মধ্যে উদ্ধার হওয়া অংশের ফারাক) ছিল ১.১৮ লক্ষ কোটি টাকা।

(এই প্রতিবেদনটি প্রথম বার প্রকাশের সময় শিরোনামে ‘সাড়ে ১৪ কোটির ঋণ’ লেখা হয়েছিল। যা ভুল। এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement