দুশ্চিন্তা বাড়াল কাজের হিসেব

প্রথম দফায় মসনদে আসার আগে বছরে দু’কোটি কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অথচ তার পরে নোট বাতিল ও তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর জেরে কাজ হারান বহু মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ০৫:২১
Share:

ফাইল চিত্র।

অর্থনীতির গতি শ্লথ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে একের পর এক সমীক্ষা। চাহিদা কমছে গাড়ি, ভোগ্যপণ্যের। যে কারণে গাড়ি ডিলার, নির্মাতা থেকে শুরু করে বিস্কুট সংস্থা হয় কর্মী কমাচ্ছে, নয়তো সে পথে হাঁটার কথা ভাবছে। এই অবস্থায় দেশের কাজের বাজারের মলিন ছবিটা ফের ফুটে উঠল সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (সিএমআইই) রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে, ২৫ অগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৯.০৭%। প্রায় তিন বছরে সাপ্তাহিক হিসেবে যা সব চেয়ে বেশি। অনিয়মিত বৃষ্টির জেরে শহরের (৮.৯%) তুলনায় ছবিটা আরও খারাপ গ্রামে (৯.১%)।

Advertisement

প্রথম দফায় মসনদে আসার আগে বছরে দু’কোটি কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অথচ তার পরে নোট বাতিল ও তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর জেরে কাজ হারান বহু মানুষ। এনএসএসও-র সমীক্ষায় বলা হয়েছিল ২০১৭-’১৮ সালে বেকারত্ব ছিল ৬.১%। ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। ফাঁস হওয়া সেই রিপোর্ট নিয়ে প্রথমে আপত্তি তুললেও, পরে সেটিই গ্রহণ করেছে কেন্দ্র।

অনেকের মতে, দ্বিতীয় বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফেরার পরেও বেকারত্বের সমস্যা পিছু ছাড়ছে না মোদী সরকারের। বিশেষত শুল্ক-যুদ্ধের জেরে যেখানে চিন্তা বাড়ছে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে। আর চাহিদা কমায় কাহিল অবস্থা দেশের অর্থনীতির। তাঁরা বলছেন, এখন কাজের সমস্যা সামলানোই কেন্দ্রের সামনে চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

সিএমআইই-র রিপোর্ট বলছে, শুধু অগস্টের শেষে ৯% ছাড়ানোই নয়। চার সপ্তাহে বেকারত্বের হার ৭.৯% থেকে ৯.১ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। ২৫ অগস্ট ৩০ দিনের গড় হিসেব ধরলে তা ৮.২৫%। তাদের মতে, কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, সেই মতো চাকরি তৈরি হচ্ছে না বলেই এই অবস্থা। রিপোর্টে দাবি, ফলে সাপ্তাহিক বেকারত্ব ৮-৯ শতাংশের মধ্যে রয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য বদল না-হলে অগস্ট শেষে সামগ্রিক ভাবে তা ৮.৫ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement