বৈঠকে জেটলি। মঙ্গলবার। -পিটিআই
কথা ছিল পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) চালুর পরে রাজ্যগুলির রাজস্ব ক্ষতি পুষিয়ে দিতে তৈরি হবে ৫৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল। যা জোগাড় হবে বিলাসবহুল ও ক্ষতিকর পণ্যগুলির উপর বসানো সেস থেকে। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে জিএসটি পরিষদের অষ্টম বৈঠক শুরুর দিনে অ-বিজেপি রাজ্যগুলির দাবি, ৫৫ কোটিতে আর কুলোবে না। নোট নাকচের জেরে বেশির ভাগ রাজ্য ৪০% পর্যন্ত রাজস্ব হারানোয় ওই খাতে ক্ষতির অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলতে পারে প্রায় ৯০ হাজার কোটি। যার বন্দোবস্ত করতে আরও বেশি সংখ্যক পণ্যের উপর সেস বসানোর সওয়াল করেছে তারা।
পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, কর্নাটকের মতো উপকূল এলাকার রাজ্যগুলি সরব হয়েছে সমুদ্রে ১২ ন্যটিকাল মাইলের মধ্যে পণ্য বেচাকেনায় জিএসটি বসানোর অধিকার পেতেও। এ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের দাবি, ‘‘দলমত নির্বিশেষে সমস্ত উপকূলীয় রাজ্যগুলিই সমুদ্রের মধ্যের ওই অঞ্চলকে নিজেদের করের এক্তিয়ারে আনার পক্ষে। অথচ আন্তঃরাজ্য জিএসটির (আইজিএসটি) খসড়া আইনে এই অধিকার কেন্দ্রকেই দেওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে।’’ তাই এ দিনের বৈঠকে এই বিষয়টিকে আন্তঃরাজ্য জিএসটি (আইজিএসটি) আইনের আওতায় আনতেও চাপ দিয়েছেন তাঁরা। পণ্য-পরিষেবা কর নিয়ে দ্রুত জট কাটাতে এই দাবির সাংবিধানিক বৈধতা সম্পর্কে আইনি পরামর্শ নিতে অবশ্য রাজি হয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও।
উল্লেখ্য, ১ এপ্রিল থেকে জিএসটি চালু করতে চেয়েছিল মোদী সরকার। এ জন্য সংবিধান সংশোধনের কাজ সারা। ঘোষণা করা হয়েছে জিএসটি-র হারও। কিন্তু এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে ওই ১ এপ্রিলের সময়সীমা ছোঁয়া সম্ভব হবে না বলে মোটামুটি নিশ্চিত অ-বিজেপি রাজ্যগুলি। এমনকী বিজেপি শাসিত গুজরাতও এ দিন জানিয়েছে, জিএসটি জমানা শুরু হতে গড়াবে সেপ্টেম্বর।
অমিতবাবুদের বক্তব্য, ২০১৫-’১৬ সালের সাপেক্ষে রাজ্যগুলির রাজস্ব আদায় ১৪% হারে বাড়বে ধরে নিয়ে ক্ষতিপূরণ হিসেব হওয়ার কথা। কিন্তু জিএসটি চালু হলে এমনিতেই প্রথম দু’বছর রাজস্ব আদায় কমবে। তার উপর নোট বাতিলের জেরে আগে থেকেই তা কমতে শুরু করেছে। ফলে ক্ষতিপূরণ মেটাতে লাগবে প্রায় ৯০ হাজার কোটি।