অভ্যর্থনা: আবু ধাবিতে গার্ড অব অনার শি চিনফিংকে (ডান দিকে)। সঙ্গী আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মহম্মদ বিন জ়ায়েদ আল নাহ্য়ান। ছবি: পিটিআই
তিন দিনের সফরের জন্য বৃহস্পতিবারই সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পা রেখেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। তার পর থেকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা রাজধানী আবু ধাবি তাঁর জন্য বরাদ্দ রেখেছে, তাতে তেল তো বটেই, পুরো পশ্চিম এশীয় বাণিজ্যেই নতুন সমীকরণ তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত পাচ্ছে বিশ্ব।
একে প্রায় তিন দশকে প্রথম এই মরু শহরে পা রাখলেন কোনও চিনা রাষ্ট্রপ্রধান। তার উপরে এখানে আসার আগেই তেল আমদানি সংক্রান্ত এক গুচ্ছ চুক্তি সেরে এসেছেন তিনি। যেমন, চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়ামকে ১৬০ কোটি ডলারের বরাত দেওয়ার কথা জানিয়েছে আবু ধাবি ন্যাশনাল অয়েল। কথা চলছে তাদের যৌথ উদ্যোগে সামিল হওয়া নিয়ে। আমিরশাহির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে শি বলেছেন আর্থিক পরিষেবা থেকে শুরু করে পরিকাঠামো, প্রযুক্তি, বিদ্যুতের মতো ক্ষেত্রে পারষ্পরিক লগ্নির বিষয়ে।
ইরান থেকে তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার কথা বলছে আমেরিকা। এই অবস্থায় তেলের জোগান নিশ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও চিন। দিল্লি যেমন সৌদি আরব, আমিরশাহির তাবড় সংস্থাকে ভারতে টেনে আনতে প্রাথমিক চুক্তি সেরেছে, তেমনই তেলের জোগানে টান না পড়া নিশ্চিত করতে পশ্চিম এশিয়াকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বেজিং। চিনফিংয়ের আবু ধাবি সফরে তাই তেলের প্রথম দুই ক্রেতার মধ্যে রেষারেষিরও গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে।