চেক বাউন্স মামলায় বিজয় মাল্যের সাজা ঘোষণা হবে আগামী ৯ মে। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে হায়দরাবাদের আদালত।
চেক ফেরত আসা বা বাউন্স করা নিয়ে কিংগ্ফিশারের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা চলছে। যার শুনানির পরেই গত ২০ এপ্রিল নেগোশিয়েব্ল ইনস্ট্রুমেন্টস আইনের ১৩৮ নম্বর ধারায় মাল্য, কিংগফিশার এবং সংস্থার এক উচ্চপদস্থ কর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তবে তাঁদের কেউই হাজির না-থাকায় সাজা ঘোষণা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, হায়দরাবাদের রাজীব গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনকারী সংস্থা জিএমআর-কে বিমানবন্দর ব্যবহারের খরচ মেটাতে ৫০ লক্ষ টাকার দু’টি চেক (মোট ১ কোটি টাকা) দিয়েছিল কিংগ্ফিশার। কিন্তু সেগুলি বাউন্স করে।
তার পরেই মাল্য ও তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করে জিএমআর। এই মামলায় গত মার্চেই মাল্যের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল হায়দরাবাদের অতিরিক্ত মুখ্য জেলাশাসকের আদালত। কিন্তু তার আগেই কাউকে কিছু না-জানিয়ে ভারত ছাড়েন কিংগ্ফিশার কর্তা।
এ দিন আদালতে জিএমআরের আইনজীবী বলেছেন, মাল্যের পাসপোর্ট ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগও করেছেন তিনি। অথচ এত দিন ধরে মামলা চলা সত্ত্বেও, এক বারের জন্য আদালতে হাজির হননি তিনি। কাজেই, এই অবস্থায় আর তাঁর উপস্থিতির জন্য অপেক্ষা না-করে রায় ঘোষণা করে দেওয়া উচিত।
একই সঙ্গে নেগোশিয়েব্ল ইনস্ট্রুমেন্টস আইনের আওতায় সর্বোচ্চ সাজার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
যা শেষ পর্যন্ত মেনে নেওয়া হলে ২ বছরের জেল ও সেই সঙ্গে জরিমানা হতে পারে মাল্যের।
এ দিকে, মাল্যের ইউবি গোষ্ঠীর বেশ কিছু সংস্থার হিসাব নতুন করে পরীক্ষা করে দেখছে ইনস্টিটিউট অব চার্ডার্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া (আইসিএআই)। সংস্থাগুলিতে অডিটরদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে তারা। অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সংগঠনটি।