প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘ সময় ধরেই আয়কর দফতরের অভিযোগ, করদাতাদের একাংশ তাঁদের রিটার্নে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করছেন না। ফলে ওই সব লেনদেনে যে কর দেওয়া উচিত, জমা দিচ্ছেন না তা-ও। ওই তথ্য যাতে রিটার্নে তাঁরা যথাযথ ভাবে উল্লেখ করেন, তা নিশ্চিত করতে এ বার উদ্যোগী হল আয়কর দফতর। ইতিমধ্যেই ওই ধরনের বেশ কয়েক জন করদাতাকে চিহ্নিত করেছে তারা।
দফতর সূত্রের খবর, ঠিক মতো রিটার্ন দাখিল এবং কর জমা নিশ্চিত করতে দ্বিমুখী পদক্ষেপ করা হচ্ছে। প্রথমত, আয়করের হিসেব সংক্রান্ত নতুন ‘২৬এএস’ ফর্মের মধ্যেই বড় অঙ্কের দেনদেনের তথ্য দেখাতে পৃথক স্টেটমেন্ট জমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরনো ‘২৬এএস’ ফর্মে এত দিন প্যান ভিত্তিক টিডিএস, টিসিএস খাতে জমা কর-সহ বিভিন্ন তথ্যের সংস্থান থাকলেও, বড় লেনদেনের স্টেটমেন্ট জমার ব্যবস্থা ছিল না।
দ্বিতীয়ত, ২০ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ওই ধরনের আয়করদাতাদের মধ্যে প্রচার চালানো হবে। বলা হবে, তাঁরা যেন ২০১৮-১৯ হিসাববর্ষের রিটার্নে গোপন করা বড় লেনদেনের তথ্য সংশোধন করে নেন। যাতে কর ফাঁকির অভিযোগে নোটিস বা স্ক্রুটিনির মধ্যে না-পড়তে হয়।
আয়কর দফতর জানিয়েছে, মোটা অঙ্কের লেনদেনের তথ্য গোপন করা করদাতাদের মধ্যেও আবার দু’টি শ্রেণি রয়েছে। এক দল বড় অঙ্কের লেনদেন করেও রিটার্নই দাখিল করেননি। অন্য দল রিটার্ন জমা দিলেও, লেনদেনের কিছু তথ্য গোপন করে গিয়েছেন। টিডিএস, টিসিএস, ব্যাঙ্ক, বিদেশ থেকে আসা টাকা (রেমিটেন্স)-সহ বিভিন্ন সূত্র থেকে আয়কর দফতর এই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে।