প্রতীকী চিত্র
বাজেটেই ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন নির্মলা সীতারামন। বলেছিলেন, এর লক্ষ্য, সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে আরও শক্তিশালী করা। আঁটোসাঁটো করা সেগুলির পরিচালন ব্যবস্থাকে। কাজে আরও পেশাদারি মনোভাব আনা। সেই সঙ্গে আরও বেশি মূলধন পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া। যাতে পঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কোঅপারেটিভ (পিএমসি) ব্যাঙ্কের মতো আর্থিক প্রতারণার মুখে পড়তে না-হয় দেশের আর কোনও সমবায় ব্যাঙ্ককে। বাজেটের চার দিনের মাথায়, বুধবার ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের সেই প্রস্তাবে সিলমোহর বসাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
প্রস্তাবে আরবিআইয়ের ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে দেশের সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে। যা এত দিন ছিল না। তবে সেগুলির প্রশাসনিক কাজকর্ম রেজিস্ট্রার অব কোঅপারেটিভের নির্দেশেই চলবে, জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
দেশ জুড়ে ১,৫৪০টি সমবায় ব্যাঙ্ক আছে। গ্রাহক প্রায় ৮.৬০ কোটি। আর তাঁদের আমানতের পরিমাণ প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকা। এত গ্রাহকের এই বিপুল আমানতের সুরক্ষা নিয়েই সম্প্রতি প্রশ্ন তুলে দিয়েছে পিএমসি ব্যাঙ্কের আর্থিক নয়ছয়। তাই এই প্রতারণা প্রকাশ্যে আসতেই কঠোর হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তড়িঘড়ি কেন্দ্রও জানায় সমবায় ব্যাঙ্কগুলি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে তারা। সেই পথে হেঁটেই এ বার ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ আইন বদলের এই তোড়জোড়।
জাভড়েকর বলেন, প্রস্তাব মতো ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী সমবায় ব্যাঙ্কে সিইও নিয়োগে আরবিআইয়ের অনুমোদন নিতে হবে। যেমন অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ককে নিতে হয়। আরবিআইয়ের নির্দেশিকা মেনে অডিট করতে হবে। কোনও ব্যাঙ্ক সঙ্কটে পড়লে আরবিআই তার পর্ষদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণের রাশ হাতে নেবে।
গত বছর পিএমসি ব্যাঙ্কে আর্থিক প্রতারণার ঘটনা সামনে আসতেই সমবায় ব্যাঙ্কগুলির উপর নিয়ন্ত্রণের ফাঁস আলগা থাকার অভিযোগ তুলেছিল সংশ্লিষ্ট মহল। নিয়ন্ত্রক রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি ব্যাঙ্কে জমা টাকার সুরক্ষা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রাহক। তাঁদের ব্যাঙ্কে জমানো সব টাকা তুলতে দেওয়ার দাবির মুখে পড়ে নাস্তানাবুদ হয় সরকারও।