প্রতীকী ছবি।
ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির মূলধনের চাহিদা মেটাতে সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণ প্রকল্প চালু হয়েছে আগেই। কিন্তু এর পাশাপাশি, ওই সব সংস্থার কর্মীদের বেতন মেটানোর জন্যও কেন্দ্রের পৃথক আর্থিক প্রকল্প চালু করা উচিত বলে মনে করেন বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ।
সম্প্রতি বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বারের ওয়েবিনারে চন্দ্রশেখরবাবু জানান, ঋণ শোধের ক্ষমতা যাচাই করে সব ছোট সংস্থাকে এখনই ধার দেওয়া হয়তো ব্যাঙ্কগুলির পক্ষে সম্ভব হবে না। তবে অবস্থার একটু উন্নতি হলে সংস্থাগুলি ঋণ নিয়ে ব্যবসা দাঁড় করানোর সুযোগ পাবে। কিন্তু ওই সব সংস্থার কর্মীরা যাতে কাজ না-হারান, তা নিশ্চিত করতে অন্তত ছ’মাসের বেতন দেওয়ার মতো অনুদান প্রকল্প চালু করা উচিত কেন্দ্রের। তাঁর বক্তব্য, ওই প্রকল্পের মাধ্যমে ছাঁটাই কিছুটা রোখা গেলে তা চাহিদা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও কার্যকরী হবে। একই আলোচনাচক্রে স্টেট ব্যাঙ্কের এমডি অরিজিৎ বসু জানান, লকডাউনের ফলে শিল্প ক্ষেত্র বড় ধাক্কা খেলেও, লকডাউন শিথিলের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ, ইস্পাত, নির্মাণের মতো শিল্পের ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
অন্য দিকে, পিআইবির এক সভায় ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এমডি-সিইও অশোক প্রধানের আশঙ্কা, লকডাউনের ফলে ঋণের চাহিদা কমা এবং অনুৎপাদক সম্পদ বৃদ্ধির জোড়া কামড়ে কমতে পারে ব্যাঙ্কের মুনাফা। স্টেট ব্যাঙ্কের জিএম সাদ ইমতিয়াজ হুসেন জানান, বাড়ি থেকে কাজ চালু করে খরচ কমিয়েছেন তাঁরা।