ফাইল চিত্র।
ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ধোঁয়াশা বহাল। তার মধ্যেই রাজস্ব সচিব তরুণ বজাজ বললেন, সরকার একে করের আওতায় আনতে চাইছে। তাই আয়কর আইন বদলের চেষ্টা হচ্ছে। পরের বাজেটে সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, কর তো অনেক পরের কথা। আগে ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক কেন্দ্র। নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে একে সরকারি ভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত থাকলেও, পরিষ্কার করে কিছুই জানানো হয়নি। তা লেনদেনের মুদ্রা না শেয়ার, সোনার মতো সম্পদ হিসাবে গণ্য হবে, ধন্দ আছে তা নিয়েও।
নিয়ন্ত্রণহীন হলেও বজাজের দাবি, বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন থেকে আয় হচ্ছে অনেকের। তা আয়কর আদায়ের আইন না-থাকলেও একাংশ কর দিচ্ছেন। যদিও সরকারি স্বীকৃতি না-থাকলে কী ভাবে সেটা সম্ভব তার ব্যাখ্যা মেলেনি। তবে বিটকয়েন বিশেষজ্ঞেরা জানান, ভারতে ওই লেনদেন হয় টাকায়। সেই আয়ে কর না-দিলে তা কালো টাকা ধরা হবে। একাংশ তাই কর মেটাচ্ছেন।
বজাজ জানান শেয়ার লেনদেনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে জড়িত ব্রোকার, লেনদেনের পরিকাঠামো বা প্ল্যাটফর্ম পরিচালনার সঙ্গে জড়িত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের থেকে জিএসটি আদায়ের কথাও ভাবছে সরকার।