—প্রতীকী চিত্র।
দেশে নির্দিষ্ট মানের বৈদ্যুতিক সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করতে নতুন নিয়ম আনল কেন্দ্র। সুইচ, সকেট, কেব্ল-সহ এই ধরনের বিভিন্ন পণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে যা বাধ্যতামূলক ভাবে মানতে হবে। যারা তা করবে না, তাদের জরিমানার পাশাপাশি জেলও হতে পারে। কেন্দ্রীয় শিল্পোন্নয়ন এবং অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতর (ডিপিআইআইটি) গত ১ জানুয়ারি এক নির্দেশ জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, কোনও বৈদ্যুতিক পণ্য ভারতীয় মান নির্ধারক ‘ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস’-এর (বিআইএস) ছাপ ছাড়া বাজারে বিক্রি বা মজুত করা যাবে না। তবে রফতানির জন্য দেশে তৈরি ওই সব পণ্যের ক্ষেত্রে গুণমান বিধি প্রযোজ্য নয়।
বহু দিন ধরে অভিযোগ উঠছে, বিদেশ থেকে খারাপ মানের বৈদ্যুতিক সামগ্রী আমদানি করা হচ্ছে ভারতের বাজারে। যা ক্রেতারা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে এক দিকে, তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং নষ্ট হচ্ছে টাকা। অন্য দিকে, মার খাচ্ছেন দেশীয় পণ্য প্রস্তুতকারীরা। সরকারি সূত্রের দাবি, তাই দেশে উন্নত মানের জিনিস তৈরি করে বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ করাই তাদের লক্ষ্য।
বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর থেকে ৬ মাসের মধ্যে নতুন নিয়ম কার্যকর করতে হবে, জানিয়েছে ডিপিআইআইটি। ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলি নির্দেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৯ মাস এবং ক্ষুদ্র সংস্থাগুলি ১২ মাস সময় পাবে।
নির্দেশে বলা হয়েছে, যে সমস্ত সংস্থা পণ্যের মান সংক্রান্ত ওই নিয়ম না মেনে বিআইএস আইন ভাঙবে, তাদের জেল অথবা জরিমানা হবে। প্রথম বার আইন ভাঙলে ২ বছরের জেল অথবা কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা জরিমানার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় বার ভাঙলে জরিমানার অঙ্ক বেড়ে হবে অন্তত ৫ লক্ষ টাকা অথবা সংশ্লিষ্ট পণ্যের দামের ১০ গুণ।
শুধু বৈদ্যুতিক নয়, আরও কিছু পণ্য তৈরির ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট মান নিশ্চিত করতে চায় মোদী সরকার। সেগুলি বাছাইয়ের জন্য তারা বিআইএসের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্র এর আগেই বেশ কিছু পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মান মেনে চলার নির্দেশ জারি করেছে। সেগুলির মধ্যে রয়েছে স্মার্ট মিটার, ওয়েল্ডিং রড, ইলেকট্রোড, কিছু বাসনপত্র, রান্নার সরঞ্জাম এবং অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র।