Tea Board

Tea Garden: চা নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপে জল্পনা

অন্য কোনও পর্ষদের সঙ্গে চা পর্ষদের সংযুক্তি বা তা তুলে দেওয়ার কোনও প্রস্তাবও নেই বলে তাঁর দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২১ ০৫:১৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

চা আইন অনুযায়ী নতুন গাছ লাগানো, পুরনোগুলি তোলা-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য এত দিন বাগানকে টি বোর্ডের (চা পর্ষদ) অনুমতি নিতে হত। সেই সংক্রান্ত কিছু ধারা সাময়িক ভাবে বাতিল করে আইন সংশোধন করেছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক। আর তার পরেই মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে ছড়িয়েছে জল্পনা, তা হলে কি চা বাগানগুলিতে পর্ষদের নিয়ন্ত্রণ কমানোর চেষ্টা করছে তারা?

Advertisement

আইন সংশোধন নিয়ে চা শিল্পের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। কারও মতে, ক্ষুদ্র চা চাষের প্রতিপত্তি বাড়ায় এবং কেন্দ্র ভর্তুকি খাতে বোর্ডের বরাদ্দ প্রায় বন্ধ করায় ওই ধারাগুলির গুরুত্ব কমেছে। তাই এমন পদক্ষেপ। অন্য অংশ মনে করছে, পর্ষদের নিয়ন্ত্রণ শিথিল হলে বিঘ্নিত হতে পারে চায়ের জোগান এবং গুণগত মানের ভারসাম্য।

১৯৫৩ সালের কেন্দ্রীয় চা আইনের ১২-১৬, ৩৯ ও ৪০ নম্বর ধারা সাময়িক ভাবে বাতিল করার কথা সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রক। নিয়ম অনুযায়ী, চা বাগানের জমি লিজ় দেয় রাজ্য। চা গাছ লাগানো-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে টি বোর্ডের অনুমতি নিতে হয়। সেই নিয়ম ভাঙলে সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী শাস্তিও হয়। তবে খোদ চা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রভাত বেজবড়ুয়াই বলছেন, ওই নিয়ম অনেকাংশে গুরুত্ব হারিয়েছে। ক্ষুদ্র চা চাষিদের ক্ষেত্রে কার্যত তা চালু নেই। অন্য কোনও পর্ষদের সঙ্গে চা পর্ষদের সংযুক্তি বা তা তুলে দেওয়ার কোনও প্রস্তাবও নেই বলে তাঁর দাবি।

Advertisement

দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল কৌশিক বসু অবশ্য সংশয়ী বাগানের বিভিন্ন কাজে পর্ষদের অনুমতি নেওয়ার নিয়ম শিথিল হওয়ার পরে চা উৎপাদন এবং জোগানের ভারসাম্য রক্ষা করা নিয়ে। তবে ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠন সিস্টার প্রেসিডেন্ট বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলছেন, ওই ধারাগুলি তাঁদের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক নয়। বরং চায়ের বাড়তি জোগান নিয়ন্ত্রণ এবং ন্যূনতম দাম নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হোক কেন্দ্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement