প্রতীকী ছবি।
চড়া শুল্কই ভারতে তাঁদের বৈদ্যুতিক গাড়ি আনায় দেরির অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছিলেন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। কর হ্রাসের জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবারও করেন তিনি। কিন্তু আমেরিকার বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থাটির প্রতি কেন্দ্রের স্পষ্ট বার্তা, কর ছাড় বিবেচনার আগে ভারতে গাড়ি তৈরি শুরু করুক টেসলা। কোনও একটি সংস্থার জন্য কর ছাঁটাই করলে সার্বিক ভাবে লগ্নিকারীদের কাছে ভাল বার্তা পৌঁছবে না বলেও জানানো হয়েছে।
মোদী সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে। কিন্তু মাস্কের দাবি ছিল, এ দেশে কারখানা গড়তে হলে আগে গাড়ি আমদানির ব্যবসায় সাফল্য জরুরি। তিনি প্রশ্ন তোলেন বৈদ্যুতিক গাড়ি সম্পর্কে ভারতের মনোভাব নিয়েও। এখন বিভিন্ন মাপকাঠি অনুযায়ী আমদানি করা গাড়িতে ৬০%-১০০% শুল্ক চাপে। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রককে চিঠিতে টেসলার দাবি, ৪০,০০০ ডলারের বেশি দামের গাড়িতে আসলে শুল্ক প্রায় ১১০%। তা কমিয়ে ৪০% করার আর্জি জানায় তারা। এতে কেন্দ্রের ক্ষতি হবে না বলেও তাদের দাবি।
কিন্তু কর ছাঁটাইয়ের আর্জি নাকচ করে ভারী শিল্প মন্ত্রক জানিয়েছে, কেন্দ্র কোনও সংস্থাকে এমন ছাড় দেয় না। শুধু টেসলাকে সুবিধা দিলে দেশে অন্যান্য যে সব সংস্থা কোটি কোটি ডলার লগ্নি করেছে, তাদের কাছে ভাল বার্তা পৌঁছবে না। তাই কর ছাড়ের আগে টেসলা ভারতে গাড়ি তৈরি শুরু করুক।
বস্তুত, গাড়ি শিল্পের অন্দরেও কর ছাড় নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। কারণ, শুল্ক কমিয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানি করলে এবং দেশে তৈরি গাড়ির চেয়ে তা সস্তা হলে বাজার হারাবে ইতিমধ্যে লগ্নি করা সংস্থাগুলি। এখন টেসলা কি পদক্ষেপ নেয়, সেটাই দেখার।