Loan

Nidhi: নিধি সংস্থা নিয়ন্ত্রণে কড়া নিয়ম সরকারের

ক্ষুদ্র ঋণ বিশেষজ্ঞ এবং বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্ণধার চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, ‘‘নিধি সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রিত করার উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২২ ০৮:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

দেশে দ্রুত বাড়ছে নিধি সংস্থার সংখ্যা। সমবায় সমিতির ধাঁচে এগুলি এক ধরনের ক্ষুদ্র ঋণদাতা। যেগুলি ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থা বা এনবিএফসি-র পর্যায় পড়ে। যে সব মানুষ নিধির সদস্য হন, সংস্থা তাঁদেরই শুধু ঋণ দেয়। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে তা শোধ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। হালে বেশ কিছু নিধির বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে সাধারণ মানুষের থেকে তহবিল তোলা এবং তা আত্মস্যাৎ করার অভিযোগ ওঠার পরে ওই সব সংস্থাকে আরও কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে নামল কেন্দ্র। বুধবার সেগুলি পরিচালনা করার আইন সংশোধন করল তারা। যার অন্যতম, আগাম আবেদন ছাড়া নিধি হিসেবে ব্যবসা শুরুই করতে পারবে না এই ধরনের কোনও সংস্থা। সরকারি মহলের দাবি, সাধারণ মানুষ যাতে ভুয়ো নিধির সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রতারণার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করাই এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য।

Advertisement

ক্ষুদ্র ঋণ বিশেষজ্ঞ এবং বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্ণধার চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, ‘‘নিধি সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রিত করার উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। এর ফলে সাধারণ লগ্নিকারীদের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। বিশেষত দেশ জুড়ে এই সংস্থার সংখ্যা যেখানে বাড়ছে।’’

কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, নিধি সংস্থা চালু করার আগে সরকারের কাছ থেকে এ ব্যাপারে এনডিএইচ-৪ ফর্মে আবেদন করে ঘোষণাপত্র আনতে হবে। প্রতিটি সংস্থার ন্যূনতম সদস্য সংখ্যা হতে হবে ২০০। পাশাপাশি সংস্থা চালুর সময় তার মূলধনের পরিমাণ হতে হবে ১০ লক্ষ টাকা। শুধু তা-ই নয়, চালু হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে সংস্থার হাতে থাকা তহবিল (নেট ওনড ফান্ড) হতে হবে ২০ লক্ষ টাকা। পুরনো নিয়মে কোম্পানি আইন সংশোধন এবং কিছু বিধি পরিবর্তনের ফলে ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে নিধি সংস্থাগুলিকে চালু হওয়ার পরে ১৪ মাসের মধ্যে সরকারি ঘোষণাপত্র পাওয়ার জন্য এনডিএইচ-৪ ফর্মে আবেদন করতে হত। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার এই ধরনের সংস্থা তৈরি হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement