—প্রতীকী চিত্র।
কয়েক বছর ধরে তীব্র গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বিপুল বেড়েছে। কিন্তু জোগান তার সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারায় লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে বহু জায়গা। মূলত কয়লা উৎপাদনের সঙ্কট এবং যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি কয়লা আমদানি করে, সেগুলি বন্ধ থাকায় সমস্যা বাড়ে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে দাঁড়িয়ে তাই আমদানিকৃত কয়লা নির্ভর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে গত মার্চে পূর্ণ ক্ষমতায় উৎপাদন চালু রাখার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। এ বার বিদ্যুৎ মন্ত্রক জানাল, আগামী জুন পর্যন্ত সেই নির্দেশ বহাল।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ নিয়ে বিড়ম্বনার মুখে পড়ছে কেন্দ্র। তাই লোকসভা ভোটের বছর আসার আগেই এই সতর্কতা। সম্প্রতি বিদ্যুৎ মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, দেশীয়
কয়লার জোগান যথেষ্ট নয়। কমেছে জল বিদ্যুতের জোগানও। আমদানি করা কয়লা নির্ভর কেন্দ্রগুলি থেকে বিদ্যুতের জোগান জরুরি। টাটা ট্রম্বে, আদানি পাওয়ার মুন্দ্রা, এসার পাওয়ার গুজরাত, জেএসডব্লিউ রত্নগিরির মতো কেন্দ্রগুলিকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
এ দিকে, বণ্টন সংস্থাগুলি বহু দিন ধরেই দাবি করছে গ্রাহকদের একাংশ না জানিয়ে এসির জন্য বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় অনেক জায়গায় পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ বার ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) জানাল, ২০৫০-এ ভারতে শুধু এসির জন্য বিদ্যুতের চাহিদা আফ্রিকার এখনকার মোট চাহিদাকে ছাপিয়ে যাবে। চাহিদা বাড়বে ন’গুণ! তারা বলছে, পাঁচ দশকে ভারত ৭০০টিরও বেশি তাপপ্রবাহের মুখে পড়েছে। মারা গিয়েছেন প্রায় ১৭,০০০ জন। এসির বিক্রি বেড়েছে ২০১০-এর তুলনায় তিন গুণ। ফলে ২০১৯-এর তুলনায় ২০২২-এ বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে ২১%।