—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমায় তার উপরে পড়ে পাওয়া মুনাফা করও (উইন্ডফল ট্যাক্স) কমাল কেন্দ্র। টন প্রতি অশোধিত তেলের উৎপাদনে দেশীয় সংস্থাগুলিকে ১৮৫০ টাকা বিশেষ অতিরিক্ত উৎপাদন শুল্ক গুনতে হবে। যা আগে ২১০০ টাকা ছিল। আজ থেকেই নতুন হার কার্যকর হয়েছে। তবে পেট্রল, ডিজ়েল এবং বিমানের জ্বালানি (এটিএফ) রফতানিতে সেই কর শূন্যই রাখা হয়েছে। প্রতি দু’সপ্তাহে তেলের দামের গড়ের ভিত্তিতে এই করের হার পুনর্বিবেচনা করে সরকার।
অতিমারির তৃতীয় ঢেউ পার করে আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরুর মুখেই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিপুল চড়েছিল অশোধিত তেলের দর। এক সময়ে তা ছাড়িয়েছিল ব্যারেলে ১৩৯ ডলার। তার পরে দাম কমলেও তা ১০০ ডলারের উপরেই ছিল। এই পরিস্থিতিতে দেশে পেট্রল-ডিজ়েল-বিমান জ্বালানি জোগানোর বদলে কিছু সংস্থা বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের চড়া দামের হাত ধরে মুনাফা করার লোভে রফতানির দিকে ঝুঁকছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সংস্থাগুলি সেই মুনাফা করছিল কোনও লগ্নি ছাড়াই। এই অবস্থায় সে বছর জুলাইয়ে প্রথম বার উইন্ডফল কর চাপানো হয়। উদ্দেশ্য, সংস্থাগুলির অতিরিক্ত মুনাফার একটি অংশকে রাজকোষে নিয়ে আসা। শুরুতে পেট্রলের উপরে কর চাপানো হলেও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, অশোধিত তেলের ব্যারেল প্রতি ৭৫ ডলারের উপরে দাম উঠলেই তার থেকে সংস্থাগুলির অতিরিক্ত মুনাফা হতে পায় ধরে নিয়ে উইন্ডফল করের হিসাব কষে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, আজ বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ঘোরাফেরা করেছে ৭৬ ডলারের আশপাশে। গত কয়েক দিন ধরেই যা নিম্নমুখী।