ধার শোধ করতে পারছে না, এমন সংস্থার ঋণদাতাদের ঝুঁকির মুখে ফেলতে চায় না কেন্দ্র। প্রতীকী ছবি।
ধার শোধ করতে পারছে না, এমন সংস্থার ঋণদাতাদের ঝুঁকির মুখে ফেলতে চায় না কেন্দ্র। তাই অলাভজনক হলে সেটিকে গুটিয়ে নিতে কিংবা চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে হাত বদলে পুনরুজ্জীবিত করতে দ্রুত দেউলিয়া বিধি প্রয়োগের সময় বেঁধে দিয়েছিল তারা। কিন্তু সরকারি সূত্রের দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। আইনি জটিলতা-সহ নানা কারণে বহু সংস্থার ভাগ্য নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় গড়িয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ সময়। আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে সেগুলির সম্পদের বাজারদর কমার। ঝুঁকির মুখে পড়ছে ঋণদাতারাও। সূত্রের মতে, তাই দেউলিয়া আইনের প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে সংশোধনী আনার কাজ শুরু করেছে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক।
এক সরকারি কর্তার দাবি, বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা চলছে। সময়ের সঙ্গে সংস্থাগুলির সম্পদের বাজারদর যাতে না-কমে, তা নিশ্চিত করতেই পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার সময় কমাতে চায় কেন্দ্র। বাজেট অধিবেশনে এ সংক্রান্ত বিল পেশ করা হতে পারে। বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে শীঘ্রই।
২০১৬-তে চালু হয়েছিল দেউলিয়া আইন। তাতে বেশ ক’বার সংশোধনও করা হয়েছে। নিয়ম অনুসারে মামলা-সহ এর পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে হয় ৩৩০ দিনে। অথচ সংসদে কেন্দ্রের পেশ করা পর্ষদের হিসাব বলছে, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৫৩টি মামলার নিষ্পত্তিতে সময় লেগেছে গড়ে ৪৭৩ দিন। এর মধ্যে গত অর্থবর্ষে ১৪৩টি মামলায় লেগেছে ৫৬০ দিন। ২০২০-২১ সালে ১২০টিতে ৪৬৮ দিন। অথচ ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ সালে সেই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৯টি মামলায় ২৩০ দিন এবং ৭৮টিতে ৩২৬ দিন।