প্রতীকী ছবি।
যত দিন যাচ্ছে, বৈদ্যুতিন ও প্রযুক্তি নির্ভর পণ্যের গুরুত্ব ও চাহিদা বাড়ছে। করোনা তাতে আরও গতি এনেছে। তেমনই অতিমারির জেরে সেই সব বৈদ্যুতিন পণ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সেমিকনডাক্টরের ঘাটতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে মোবাইল, ফ্রিজ, গাড়ি তৈরি বাধার মুখে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশেই সেমিকনডাক্টর ও ডিসপ্লে যন্ত্রাংশ তৈরিতে উৎসাহ দিতে ৭৬,০০০ কোটি টাকার উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্পে (পিএলআই) সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সরকারের আশা, এতে চার বছরে এই ক্ষেত্রে ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার লগ্নি টানা সম্ভব হবে। তৈরি হবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে প্রায় ১.৩৫ লক্ষ কাজের সুযোগ।
সেমিকনডাক্টর চিপের জন্য মূলত চিনের উপরেই নির্ভর করত ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে। অতিমারিতে সেই জোগানে চিড় ধরে। যতটুকু যন্ত্রাংশ পাওয়া যাচ্ছে, মোবাইল বা ভোগ্যপণ্যে উৎপাদনে তার সিংহভাগ ব্যবহার হচ্ছে। ফলে সেমিকনডাক্টরের অভাবে টান পড়ছে গাড়ি উৎপাদন তথা বিক্রিতে। গত কয়েক মাসে এই সমস্যা প্রকট হয়েছে। বুধবার প্রকল্প ঘোষণার পরে টেলিকমমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, সেমিকনডাক্টর চিপের জোগান ছয়-আট মাসের মধ্যে স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছেন তাঁরা। তবে আগামী দিনে দেশেই তা তৈরি হওয়া জরুরি।
সূত্রের খবর, ইজ়রায়েল, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি ভারতের টাটা গোষ্ঠীও দেশে সেমিকনডাক্টর ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে লগ্নিতে আগ্রহী। চার বছরে ১০০টি সংস্থা এই প্রকল্পের সুবিধা নেবে বলে আশাবাদী অশ্বিনীও।