প্রতীকী ছবি।
খাবারের সঙ্গে মিশে থাকা কীটনাশক শরীরে ঢুকছে। ফলে বাসা বাঁধছে নানা রকম জটিল রোগ। কিন্তু কীটনাশকে কতখানি ক্ষতিকারক রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে, তার উপরে সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এ জন্য নতুন কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ বিল আনতে চলেছে মোদী সরকার। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই বিলে ছাড়পত্র দিয়েছে।
১৯৬৮ সালের কীটনাশক আইন বদলে নতুন কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ বিলের উদ্দেশ্য হবে, চাষিদের জন্য সুরক্ষিত অথচ কার্যকরী কীটনাশক সরবরাহ নিশ্চিত করা। কীটনাশকের ফলে ফসলের ক্ষতি হলে তার জন্য সেগুলি তৈরি করেছে যে সংস্থাগুলি, তাদের জরিমানা গুনতে হবে। সেই জরিমানার অর্থে তৈরি হবে একটি তহবিল।
তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘‘আমরা চাই চাষিদের কাছে যেন কীটনাশক সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য থাকে। নতুন বিলে কীটনাশক প্রস্তুতকারী সংস্থা ও ডিলারদেরও নথিভুক্ত করতে হবে।’’ সরকারের দাবি, এই বিলে জৈব কীটনাশকে উৎসাহ দেওয়া হবে। কীটনাশক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির মিথ্যে বিজ্ঞাপনের উপরেও জারি করা হবে নিষেধাজ্ঞা। কীটনাশক তৈরিতে ভারতের স্থান গোটা বিশ্বে চতুর্থ। সম্প্রতি জৈব কীটনাশক বাড়লেও, রাসায়নিক কীটনাশকের প্রকোপই বেশি এখন। সবথেকে বেশি ব্যবহার হয় ধান ও তুলো চাষে।