ইন্ডিয়ান অয়েল (আইওসি)-এর ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে সাকুল্যে ৯,৩০০ কোটি টাকা ঘরে তুলল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সোমবার, শেয়ার বাজারের কালো দিনেই এই শেয়ার বিলগ্নিকরণ হওয়ার কারণে ইস্যুটিকে ‘বাঁচাতে’ এলআইসি-র মতো কিছু বড় মাপের প্রতিষ্ঠানকে ‘আর্জি’ জানায় কেন্দ্র। তাদের হাত ধরেই বিক্রির জন্য রাখা ২৪.২৮ কোটি শেয়ারের তুলনায় শেষ পর্যন্ত ১.১৮ গুণ বাড়তি আবেদনপত্র জমা পড়ে।
নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা এই শেয়ারের সর্বনিম্ন দর কেন্দ্র বেঁধে দিয়েছিল ৩৮৭ টাকায়। কিন্তু বাজারে ধস নামার জেরে এ দিন বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনে তা নেমে আসে ৩৭৮ টাকায়। আতঙ্ক গ্রাস করায় খুচরো লগ্নিকারীরা বাজার থেকে দূরেই ছিলেন, যদিও তাঁদের জন্য ৫ শতাংশ কম দামে (শেয়ার পিছু ৩৬৭.৬৫ টাকা) রাখা ছিল ৪.৮৫ কোটি শেয়ার। তাঁরা ওই শেয়ারের মাত্র ১৮ শতাংশের জন্য আবেদন দাখিল করেন। অন্য দিকে, এলআইসি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের জন্য আলাদা করে রাখা ১৯.৪২ কোটি শেয়ারের তুলনায় ১.৪৩ গুণ বাড়তি আবেদন পেশ করে। ফলে সব মিলিয়ে শেষে অতিরিক্ত আবেদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১.১৮ গুণ। আর তাতেই উতরে যায় আইওসি ইস্যু।