কৃষিতে বিপুল ভর্তুকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে বহু দিন ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও আমেরিকা। আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) নালিশও জানিয়েছে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সচিব অনুপ ওয়াধওয়ানের দাবি, আদতে কৃষকদের কোটি কোটি ডলার ভর্তুকি দিতে অভ্যস্ত পশ্চিমি দেশগুলিই। সেই তুলনায় ভারতের চাষিরা যে আর্থিক সাহায্য পান, তার পরিমাণ খুবই কম।
মার্কিন-চিন শুল্ক-পাল্টা শুল্ক বসানোর লড়াই যখন সারা বিশ্বে কাঁপন ধরিয়েছে, তার মাঝেই গত বছর মে মাসে এই ভর্তুকির প্রশ্নে ভারতকে ডব্লিউটিও-তে টেনে নিয়ে গিয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। অভিযোগ করেছিল, গম ও চালে ডব্লিউটিও-র অনুমোদিত সীমার থেকে অনেক বেশি ভর্তুকি দিয়েছে এ দেশ। কিন্তু দেখিয়েছে ডব্লিউটিও-র বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশের থেকে কম করে।
এ দিন সচিবের অবশ্য দাবি, ভারতে ভর্তুকি শুধু কম নয়, এ ব্যাপারে অন্যান্য দেশের থেকে শেখারও আছে ভারতের। যে মন্তব্যে উন্নত দেশগুলির প্রতি কটাক্ষই খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে। তাদের দাবি, উন্নত দুনিয়া বরাবর খাদ্যে ভর্তুকি দেওয়া নিয়ে বিঁধেছে ভারতকে। ডব্লিউটিও-তে অভিযোগ করেছে, এ দেশ কৃষিতে তো বিপুল ভর্তুকি দেয়ই, রফতানিতেও খান ছয়েক ভর্তুকি প্রকল্প চালু। ফলে বহু কর ও ফি বাবদ ছাড়ের সুবিধা ভোগ করেন রফতানিকারীরা। বিদেশের বাজারে তুলনায় কম দামে পণ্য বেচতে পারেন। আর এতেই অসম প্রতিযোগিতায় পড়ে মার খান মার্কিন কর্মী ও উৎপাদনকারীরা।
বিষয়টি যে উল্টো সেই ইঙ্গিত দিয়ে ওয়াধওয়ান এ দিন বলেন, ইইউ, আমেরিকা বিপুল ভর্তুকি দিলেও, তা দেখায় ডব্লিউটিও-র নীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে। সঙ্গে ছুড়ে দেন ঠাট্টাও, ইইউ গরুতে এত বেশি ভর্তুকি দেয় যে, বিজনেস ক্লাসে চাপিয়ে দু-দু’বার তাকে পৃথিবী ঘুরিয়ে আনা যাবে।