ভারতে ফের সমস্যায় মার্কিন ওষুধ সংস্থা ফাইজার। এ দেশে রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ওষুধ টোফাসিটিনিব-এর উন্নত সংস্করণের জন্য পেটেন্ট পেতে আবেদন করেছিল তারা। কিন্তু ফের তা খারিজ করে দিল কেন্দ্রীয় পেটেন্ট অফিস। জানাল, সংস্থাটির ওই আবেদন বিবেচনার যোগ্যই নয়। এর আগে ২০১১ সালেও এই একই ওষুধের জন্য ফাইজারের করা পেটেন্টের আর্জি বাতিল করা হয়েছিল।
ফাইজারের পক্ষ থেকে সোমবার জানানো হয়েছে, আগামী দিনে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থা। তবে সংস্থার দাবি, ভারতে টোফাসিটিনিব-এর মূল ওষুধের পেটেন্ট তাদের হাতে রয়েছে।
সংস্থাটির এ বারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ সেপ্টেম্বরের নির্দেশে অ্যাসিস্ট্যান্ট কনট্রোলার অব পেটেন্টস অ্যান্ড ডিজাইন ভরত এন এস জানান, বর্তমান ওষুধটি আগের চেয়ে উন্নত এবং তাড়াতাড়ি রোগের উপশম ঘটায় বলে দাবি করেছে ফাইজার। কিন্তু সেই দাবির কোনও ভিত্তি নেই। এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ের কথাও উল্লেখ করেন তিনি, যেখানে বলা হয় নতুন ওষুধটি যে আগের চেয়ে উন্নত, তা প্রমাণের দায় সংস্থারই। এই বিষয়টিই এ ক্ষেত্রে প্রমাণ না-হওয়ার কারণে ফাইজারের আবেদন বাতিল করা হল বলে জানিয়েছেন ভরত।
এর আগে ২০১১ সালে তাদের আবেদন খারিজ হওয়ার পরে মেধা সম্পদ সংক্রান্ত আপিল পর্ষদে নির্দেশ ফিরে দেখতে আবেদন করে ফাইজার। গত বছর অক্টোবরে সংস্থার পক্ষেই রায় দেয় পর্ষদ এবং পেটেন্ট অফিসকে ফের তা খতিয়ে দেখতে বলে তারা। সেই মতো নতুন করে সংস্থার আবেদন পর্যালোচনায় বসে পেটেন্ট অফিস। কিন্তু এ বারও ফাইজারকে খালি হাতেই ফিরতে হল।
ভারতে ওষুধ শিল্পের বিশাল বাজার ধরতে ইতিমধ্যেই ঝাঁপিয়েছে একাধিক বিদেশি সংস্থা। কিন্তু মেধা সম্পদ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ফাইজারের মতো ঝামেলায় জড়িয়েছে বেয়ার, রোশের মতো অনেকেই। তাদের অভিযোগ, এখানকার মেধা সম্পদ সংক্রান্ত নীতি এমন ভাবে তৈরি, যাতে দেশীয় সংস্থাগুলি বাড়তি সুবিধা পায়। অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রের দাবি, সাধারণের কাছে কম দামে ওষুধ পৌঁছে দেওয়াই মূল লক্ষ্য তাদের।