নোট বাতিলের ধাক্কায় দেশে গাড়ি বিক্রি ঠেকেছে তলানিতে। রাজ্যের ছবিটাও প্রায় একই রকম। ব্যতিক্রমের আভাস শুধু সরকারের ‘গতিধারা’ প্রকল্পে। রাজ্যের দাবি, এর হাত ধরে কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে ছোট-বড় গাড়ি ডিলারদের মুখে। কারণ আগামী তিন মাসের মধ্যে ওই প্রকল্পের আওতায় অন্তত ৫,৫০০ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি বিক্রি হওয়ার কথা।
শনিবার থেকে বণিকসভা সিআইআইয়ের উদ্যোগে মিলন মেলা প্রাঙ্গণে বসেছে ‘ট্রান্সপোর্ট এক্সপো’। তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে রাজ্য পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, গতিধারা প্রকল্পের হাত ধরে চলতি অর্থবর্ষে অন্তত ৭,৫০০ গাড়ি বিক্রি হওয়ার কথা। ২,০০০ হয়েছে। বাকিটা হবে মার্চের মধ্যে।
পরিবহণ শিল্পে কর্মসংস্থান বাড়াতে বছর খানেক আগে রাজ্য গতিধারা প্রকল্প ঘোষণা করে। ২৫ হাজার টাকার নীচে যে-সব পরিবারের মাসিক আয়, তারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারে। যার আওতায় ছোট ট্যাক্সি, বাস ইত্যাদি কিনতে রাজ্য সর্বাধিক এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেয়। তারা জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই এতে বেশ কয়েক হাজার গাড়ি বিক্রিও হয়ে গিয়েছে।
এ দিন পরিবহণ সচিবের দাবি, নোট বাতিলের জেরে রাজ্যেও যখন গাড়ি বিক্রি কার্যত থমকে, তখন বহুজাতিক সংস্থাগুলির ডিলারদের ঘরে গতিধারা প্রকল্পের আওতায় গাড়ি কেনার আবেদন জমা পড়েছে সব চেয়ে বেশি। তিনি জানান, গাড়ি কেনা-বেচার পদ্ধতি আরও সরল করতে পরিবহণ শিল্পে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সরকারি পর্যায়ে টাস্ক ফোর্সও গড়া হয়েছে। লক্ষ্য অনলাইনেই রেজিস্ট্রেশন, রোডট্যাক্স-সহ নানা পরিষেবা ডিলারদের ঘরেই চালু করা।
উল্লেখ্য, পরিবহণ শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি, এই ভাবনা থেকেই গতিধারার মতো বিভিন্ন প্রকল্প আনতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। এ দিন আলাপনবাবুর দাবি, গত পাঁচ বছরে রাজ্যের পরিবহণে সাড়ে সাত হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে।