কার্লোস ঘোসন
শনিবার মুখ খুলেছিলেন অভিযুক্ত গ্রেগ কেলি। যাঁকে সঙ্গে নিয়ে নিসানের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কার্লোস ঘোসন আয় কম করে দেখানো ও সংস্থার অর্থ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের ষড়যন্ত্র চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। রবিবার জাপানের সংবাদ মাধ্যম জানাল, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঘোসনও। তবে এখনও সকলের সামনে আত্মপক্ষ সমর্থনে সওয়াল করতে এগিয়ে আসেননি তিনি। শুধু জানা গিয়েছে, তদন্তকারীদের কাছে জেলবন্দি নিসান কর্তা দাবি করেছেন, সংস্থার আর্থিক নথিপত্রে আয় কমিয়ে দেখানোর কোনও ইচ্ছে ছিল না তাঁর এবং তিনি তা করেনওনি।
কেলির দাবি, আরও অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেই ঘোসনের বেতন কার্যকর হয়েছিল। আর তা যথেষ্ট নিয়ম মেনে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি শুধু চেয়ারম্যানের নির্দেশ মেনে চলছি এমনটা নয়। বরং সংস্থার স্বার্থেই কাজ করেছি।’’ তবে নিসানের সিইও হিরোতো সাইকাওয়া গোটা ঘটনার দায় ঘোসন ও কেলির উপর চাপিয়েছেন। সে জন্য কর্মীদের কাছে দুঃখপ্রকাশও করেছেন। সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার টাউন হল বৈঠকে ডেকেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে বিশ্বের গাড়ি শিল্পকে চমকে দিয়ে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার হন ঘোসন। নিসানের অভিযোগ, তাদের তদন্তে ধরা পড়েছে তিনি ও সংস্থার প্রাক্তন ডিরেক্টর কেলি আয় কম করে দেখিয়েছেন ও সংস্থার অর্থ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার হন দু’জনেই। সংস্থা থেকেও সরানো হয় তাঁদের। অথচ এই ঘোসনই এক সময় নিসানকে দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচিয়েছিলেন। ফরাসি গাড়ি সংস্থা রেনোর সঙ্গে জোটের অন্যতম রূপকারও ছিলেন তিনি। যে জোটে পরে যোগ দেয় জাপানের আর এক সংস্থা মিৎসুবিশি। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, গাড়ি শিল্পে তিন বহুজাতিকের অন্যতম সফল গাঁটছড়া এটি।
ইতিমধ্যেই প্রাক্তন নিসান কর্তার লুকোনো আয়ের যে অঙ্কটা সামনে এসেছে, তা দেখে চক্ষু চড়ক গাছ সারা বিশ্বের। জাপানের সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ঘোসন প্রায় ৭.১০ কোটি ডলার আয় কম দেখিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে যতটা অনিয়মের সন্দেহ ছিল, এটা তার থেকে অনেক বেশি। সূত্রের খবর, দু’এক মাসের মধ্যে নতুন চেয়ারম্যান মনোনীত করবে নিসান। সম্ভবত ২০ ডিসেম্বর বসতে চলা সংস্থার পর্ষদের বৈঠকের আগেই।