প্রতীকী ছবি।
গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম ২২ বছর ধরে গাড়ি বিক্রির খতিয়ান তৈরি করছে। ডিসেম্বরের হিসেব হাতে আসার পরে তাদের মন্তব্য, ২০১৯ সালের মতো ব্যবসার এত খারাপ হাল আগে কখনও দেখেনি তারা। শুক্রবার সিয়াম জানিয়েছে, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে দেশে সব ধরনের গাড়ির পাইকারি বিক্রি কমেছে ১৩.৭৭%। অর্থাৎ খুচরো বাজারে বিক্রির জন্য ডিলারদের সংস্থার কাছ থেকে এত কম গাড়ি কিনতে দেখা যায়নি ওই ২২ বছরে। অর্থনীতির ঝিমুনির জেরে ডিসেম্বরে বিক্রি কমেছে ১৩.০৮%। তাদের আশঙ্কা, নতুন বছরেও পরিস্থিতি সহজ হবে না।
সিয়ামের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সুগত সেনের দাবি, তাঁরা ১৯৯৭ সাল থেকে বিক্রির হিসেব তৈরি করছেন। ২০১৯ সালের মতো এত বেশি বিক্রি কমেনি কোনও বার। ২০০৭ সালও খারাপ কেটেছিল। কিন্তু বিক্রি কমার হার ছিল ১.৪৪%।
সিয়ামের প্রেসিডেন্ট রাজন ওয়াধেরার দাবি, উৎসবের মরসুমে চাহিদা সামান্য বেড়েছিল। কিন্তু তা ধরে রাখা যায়নি। নভেম্বরের পরে ডিসেম্বরেও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বিক্রি কমেছে। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নানা পদক্ষেপ করছে। কিন্তু গাড়ি শিল্পের সামনে চ্যালেঞ্জ রয়েই গিয়েছে। বৃদ্ধিতে গতি আসার সঙ্গে বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রির বিষয়টি সরাসরি যুক্ত। বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ বহাল। গ্রামাঞ্চলে চাহিদা কমাতেও চিন্তা বেড়েছে। যে কারণে বিশেষত দু’চাকার বিক্রি বাড়ছে না।’’
এপ্রিল থেকে সব গাড়িকেই বিএস-৬ দূষণ বিধি অনুযায়ী তৈরি হতে হবে। এতে বাণিজ্যিক গাড়ির দাম ৮-১০% ও যাত্রী গাড়ির ৩-৭% বাড়লে বিক্রিতে আরও বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রাজনের।
দাম কমলে চাহিদা বাড়বে। এই যুক্তিতে এ দিনও গাড়িতে জিএসটি কমানোর আর্জি জানিয়েছেন রাজন। তাঁরা অবশ্য পুরনো গাড়ি বাতিলের নীতি দ্রুত আনার আর্জিও জানাচ্ছেন।