ফাইল চিত্র।
গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে উন্নতি সামান্য। আগের দু’টি বছরের এপ্রিলে করোনার জেরে ব্যবসা তলানিতে থাকায়, গত মাসে শোরুম থেকে গাড়ি বিক্রি সেই তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। কিন্তু ডিলারদের সংগঠন ফাডা বলছে, গাড়ি ব্যবসার অবস্থা বুঝতে গেলে গত দু’বছরের পরিবর্তে ২০১৯ সালের এপ্রিলের সঙ্গে তুলনা টানা বেশি যুক্তিযুক্ত। সেই হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ব্যবসা এখনও অতিমারির আগের জায়গায় পৌঁছতে পারেনি। তাদের বক্তব্য, তেলের দাম, যন্ত্রাংশের জোগানের সমস্যা, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির পর, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট বাড়ানোয় গাড়ি ঋণের খরচ বাড়বে। তাতে আবারও সমস্যায় পড়তে পারে ব্যবসা। বিশেষ করে দু’চাকার।
ফাডার প্রেসিডেন্ট ভিঙ্কেশ গুলাটি জানাচ্ছেন, ২০১৯ সালের এপ্রিলের তুলনায় গত মাসে গাড়ি বিক্রি ৬% কম ছিল। যাত্রিগাড়ি ও ট্র্যাক্টরের বিক্রি বাড়লেও দুই ও তিন চাকার বিক্রি যথাক্রমে ১১% ও ১৩% কম। বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে সঙ্কোচন ০.৫%। তার উপর যন্ত্রাংশের জোগান সঙ্কটে যাত্রিগাড়ির জন্য ক্রেতাদের দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। গ্রামীণ অর্থনীতি এখনও ঘুরে না দাঁড়ানোয় ধাক্কা খাচ্ছে দু’চাকার গাড়ি বিক্রি।
তবে ফাডার মতে, কিছু আশার দিকও আছে। ব্যক্তিগত কেনাকাটা বাড়ছে। স্বাভাবিক বর্ষার পূর্বাভাস রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ঠিক মতো বৃষ্টি হলে সেই বাজার চাঙ্গা হতে পারে। সেই সঙ্গে রয়েছে বিয়ের মরসুম। আপাতত সেই ভরসাতেই রয়েছে দেশের গাড়ি শিল্প।