প্রতীকী ছবি।
অর্থনীতির ঝিমুনির জেরে প্রায় দেড় বছর ধরে ধুঁকছিল গাড়ি শিল্প। অনিশ্চয়তা বাড়ছিল বাধ্যতামূলক ভাবে ভারত স্টেজ-৬ মাপকাঠির গাড়ি বিক্রির সময় এগিয়ে আসায়। আর অর্থবর্ষ শেষে তাতে ছায়া পড়ল করোনাভাইরাসের। যার জেরে চলতে থাকা লকডাউনের ধাক্কায় মার্চে তলিয়ে গেল গাড়ি বিক্রি। চার চাকা, দু’চাকা ও বাণিজ্যিক, সমস্ত ক্ষেত্রেই দেখা গেল বিক্রি কমার ভয়ঙ্কর ছবি। আগামী দিনেও পরিস্থিতি কতটা শোধরাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
গাড়ি শিল্পের মতে, গত এক বছর ধরে দেশের অর্থনীতির শ্লথ গতির কারণে গাড়ি কেনা থেকে হাত গুটিয়েছিলেন ক্রেতারা। তার উপরে ১ এপ্রিল থেকে দেশে বিএস-৪ মাপকাঠির গাড়ি বিক্রি করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় গাড়ি কেনা স্থগিত রেখেছেন অনেক ক্রেতা। নতুন বিএস-৬ গাড়ির দামও বেশি হওয়ায় সন্দিহান ছিলেন তাঁরা। আর এ বার করোনার জেরে দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় মানুষ ঘরবন্দি, উৎপাদন বন্ধ গাড়ি কারখানাগুলিতেও।
করোনার প্রভাব কমলেও, আগামী কয়েক মাসে বিক্রি ছন্দে ফিরবে কি না, তা নিশ্চিত নয় বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তাঁদের মতে, এর জেরে অর্থনীতিতে যে ধাক্কা আসবে, তা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। কর্মী ছাঁটাই হলে বা বেতন কমলে, মানুষও আরও বেশি করে জরুরি প্রয়োজনের জন্য টাকা সরিয়ে রাখবেন। গাড়ি কেনার ইচ্ছে স্থগিত রেখেই।