—প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণা হোক বা স্বাস্থ্যে কৃত্রিম মেধার (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) যথেচ্ছ ব্যবহার— আগামী আর্থিক বছরে (পড়ুন ২০২৫-’২৬) এর জন্য বিপুল বরাদ্দ করবে কেন্দ্র? ক্যানসারের ওষুধে মিলবে কর ছাড়? সংসদে বাজেট পেশের মুখে এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, এ বছর জনস্বাস্থ্যে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করবে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে এই খাতে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্টস বা জিডিপি) ১.৯ শতাংশ খরচ করেছিল সরকার। এ বারের বাজেটে তা বেড়ে ২.৫ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
সরকারি তথ্য বলছে, গত কয়েক বছরে ভারতীয়দের স্বাস্থ্য বিমায় লগ্নির পরিমাণ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের সমস্ত নাগরিককে এই বিমার আওতায় আনতে বাজেটে বড় ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পাশাপাশি বাজেট থেকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশায় দিন গুনছে ফার্মা সংস্থা এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় স্টার্ট আপ কোম্পানি।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন মেট্রোপলিস ল্যাবসের কর্নধার আমেরা শাহ। তাঁর কথায়, ‘‘বাজেটে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যের দিকে সরকার নজর দেবে বলে আমরা আশাবাদী। বর্তমানে রোগ নির্ণয় সংক্রান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিমার গ্রাহকেরা মাত্র পাঁচ হাজার টাকা কর ছাড় পেয়ে থাকেন। এটি বাড়িয়ে ১০ হাজার করুক কেন্দ্র। শুধু তা-ই নয়, পরিবারের একাধিক সদস্যকে এর আওতায় আনা উচিত।’’ স্বাস্থ্য বিমার প্যাকেজে হাসপাতালের বহির্বিভাগের রোগ নির্ণয়কারী পরিষেবাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও তুলেছেন তিনি।
গত বছরের (পড়ুন ২০২৪) বাজেটে ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত তিনটি ওষুধ, ট্রাস্টুজুমাব ডেরুক্সটেকান, ওসিমেরিটিনব এবং দুরভালুমাবের উপরে সম্পূর্ণ শুল্ক ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারামন। এ বারও তেমনই বড় সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছে একাধিক ফার্মা সংস্থা।