ফাইল ছবি
তিন বছর পরে ফের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের জন্য পুনরুজ্জীবন প্রকল্প। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১.৬৪ লক্ষ কোটি টাকার সেই আর্থিক প্যাকেজে সায় দিয়েছে। ফাইবার ভিত্তিক দ্রুত গতির টেলিকম পরিষেবা বিস্তারের লক্ষ্যে বিবিএনএল-কে আগেই বিএসএনএলের সঙ্গে মেশানোর যে ইঙ্গিত দিয়েছিল কেন্দ্র, তাতেও পড়েছে সিলমোহর। তবে সংস্থার কর্মী ইউনিয়ন বিএসএনএলইইউ-এর দাবি, প্যাকেজে নতুন কিছু নেই। বরং তাদের ৪জি পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে কেন্দ্র বাধার পাঁচিল তোলায় প্রতিযোগিতায় পিছিয়েছে সংস্থাটি। বেসরকারি সংস্থাগুলি যখন ৫জি আনতে স্পেকট্রাম কিনছে, তখন ৪জি-ই চালু করেনি বিএসএনএল। সরকারের দাবি, নতুন প্যাকেজের হাত ধরে এক-দেড় বছরের মধ্যে গ্রাহক পাবেন সংস্থার ৪জি সংযোগ আর দেড়-দু’বছরের মধ্যে আসবে ৫জি।
সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, বেসরকারি ক্ষেত্রে মোবাইল পরিষেবা চালুর অনেক পরে তা শুরুর ছাড়পত্র পেয়েছিল বিএসএনএল। তিন বছর ধরে শুধু কেন্দ্রের তরফে ৪জি স্পেকট্রাম পাওয়ার আশ্বাস জুটেছে। পরিষেবা পরিকল্পনাতেই আটকে। ইউনিয়নগুলির তোপ, ২০১৯-এও পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ আনা হয়েছিল। কর্মী ছাঁটাই ছাড়া আর কিছু হয়নি।
টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের অবশ্য দাবি, আগের প্রকল্পটি সংস্থাকে ঘুরিয়ে দাঁড় করিয়েছে। বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকার কার্যকরী মুনাফা হচ্ছে। এ বারের প্যাকেজ তাদের লাভজনক করবে। পরিষেবার মান বাড়াবে। ৪জি আসার পথ করে দেবে। হিসাবের খাতাকে পোক্ত করার পাশাপাশি ফাইবার ভিত্তিক পরিষেবা ছড়াতেও সাহায্য করবে। তিন-চার বছরেই নিট মুনাফার মুখ দেখবে সংস্থা। দু’বছরের মধ্যে আসবে ৫জি।
বিএসএনএলইউয়ের সাধারণ সম্পাদক পি অভিমন্যুর দাবি, বাজেটেই তো ৪৪ হাজার কোটি টাকা সাহায্যের কথা বলা হয়েছিল। ২০১৯ থেকে ৪জি স্পেকট্রামের আশ্বাস দিলেও পরিষেবা শুরুর পথে বাধা তৈরি করেছে সরকারই। ফলে সেই স্পেকট্রাম ব্যবহারের সুযোগ মেলেনি। আগের যন্ত্রের সফটওয়্যার উন্নত করে ৪জি চালুর উপায় ছিল। তা-ও করতে দেওয়া হয়নি। অথচ যে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের নিয়ম আনা হল, চূড়ান্ত সাফল্য পায়নি সেটা।
এ দিন মন্ত্রিসভা টেলিকম পরিষেবাহীন ২৫ হাজার গ্রামে ৪জি পরিষেবার জন্য ২৬,৩১৬ কোটি টাকা খরচে সায় দেয়। সীমান্ত এলাকায় ২জি থেকে চালু হবে ৪জি। কেন্দ্রের দাবি, সুযোগ খুলবে বিপুল কর্মসংস্থানের।