মোবাইলের রমরমা। সেই সঙ্গে পরিষেবার মান নিয়ে অভিযোগ। এই সাঁড়াশি আক্রমণে দ্রুত কমছে বিএসএনএলের ল্যান্ড ফোনের সংখ্যা।
সংযোগ যত জন ছাড়ছেন, নতুন করে নিচ্ছেন তার চেয়ে অনেক কম। অথচ এখনও সংস্থার আয়ের প্রায় অর্ধেক আসে ওই ব্যবসা থেকে। শুধু ক্যালকাটা টেলিফোন্সেই প্রায় ৬০%। এই অবস্থায় ল্যান্ডলাইনের সুদিন ফেরাতে মরিয়া রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। তার পথ খুঁজতে শনিবার বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে বসছে ৫ সার্কেলের চিফ জেনারেল ম্যানেজারদের নিয়ে গড়া কমিটি।
কিন্তু দুনিয়া যেখানে মোবাইলে মজে, সেখানে ল্যান্ড ফোনের ‘অচ্ছে দিন’ ফিরবে কোন যুক্তিতে?
সংস্থার একাংশের দাবি, সারা বিশ্বে এখনও ল্যান্ডলাইনের চল আছে।
কারণ, তারহীন (ওয়্যারলেস) প্রযুক্তির তুলনায় তারযুক্ত (ওয়্যারলাইন) পরিষেবার মান সাধারণত ভাল। তা সে কল কম কাটা হোক বা কথা স্পষ্ট শোনা। ল্যান্ডলাইনের বিল ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগে। এই ফোনের পরিকাঠামো কাজে লাগিয়ে দেওয়া ব্রডব্যান্ডের গতিও মোবাইলে নেটের থেকে সাধারণত বেশি।
সংস্থার অন্য সূত্রের দাবি, মোবাইলের থেকে গ্রাহক পিছু আয় ল্যান্ডলাইনে বেশি। মেট্রো শহরে প্রায় দ্বিগুণ। তা ছাড়া, এই প্রযুক্তির জন্য বিএসএনএলের পরিকাঠামো রয়েছে।
হালে এসেছে উন্নত প্রযুক্তি। তাই সঠিক পরিকল্পনায় ল্যান্ড ফোনে সবুরে মুনাফার আশা করছে তারা।
কিন্তু পরিষেবার মান নিয়ে অভিযোগ? লাইন খারাপ হলে তা সারাতে দিন গড়িয়ে যাওয়া?
সংস্থা সূত্রে দাবি, এই সবই খতিয়ে দেখবে কমিটি। পদক্ষেপ করা হচ্ছে পরিষেবার মান বাড়াতে। ক্যালকাটা টেলিফোন্সের সিজিএম এস পি ত্রিপাঠীর দাবি, এখন ল্যান্ড ফোন খারাপ হলে, তার ৩০% পরের দিনই সারাই হয়। লক্ষ্য, তা ৫০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। অভিযোগ এক সপ্তাহের বেশি ফেলে না রাখা। কর্মীরা দক্ষ হওয়ায় তা সম্ভব বলেই তাঁর দাবি।