ছবি: সংগৃহীত।
মোবাইল ফোন পরিষেবার পরিকাঠামো তৈরির যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী সংস্থা এরিকসনের কাছে বাকি রয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা। যা দিতে না পারলে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে পারেন কর্ণধার অনিল অম্বানী। সেই সঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ঋণদাতাদের গোষ্ঠীর কাছেও দেনার অঙ্ক কম নয়। এই অবস্থায় নতুন করে চাপে পড়তে চলেছে রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স (আর-কম)। এ বার পাওনাগণ্ডা আদায় করতে তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালের (এনসিএলটি) দ্বারস্থ হতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল। দাবির অঙ্ক প্রায় ৭০০ কোটি টাকা।
আর্থিক ভাবে কিছুটা চাপে রয়েছে বিএসএনএল-ও। কর্মী ও অফিসারদের ফেব্রুয়ারির বেতন তারা মিটিয়েছে গত শুক্রবার। সংস্থাটিকে চাঙ্গা করতে কার্যকরী মূলধনের জন্য ব্যাঙ্ক ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনাতে সায় দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এরই পাশাপাশি আর-কমের মতো বেসরকারি সংস্থার কাছেও টাকা পায় বিএসএনএল। সেই পাওনা আদায়েই এ বার তৎপর হল তারা।
সূত্রের খবর, আর-কমের দেওয়া ১০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ইতিমধ্যেই হাতে নিয়েছে বিএসএনএল। পাশাপাশি এ সপ্তাহেই এনসিএলটিতে যেতে পারে তারা। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই। কিন্তু বিভিন্ন সার্কল অফিস থেকে বকেয়া বিল সংগ্রহ করতে দেরি হওয়ায় এত দিন ওই পদক্ষেপ আটকে ছিল।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এর আগে আর-কম নিজেরাই এনসিএলটির আপিল আদালতে (এনসিএলএটি) জানিয়েছিল, যাবতীয় বকেয়া ঠিক সময়ে মেটানোর জন্য সংস্থাকে দেউলিয়া বিধির আওতায় নিয়ে যেতে চায় তারা। তাদের আবেদন ছিল, কর ফেরতের ২৬০ কোটি টাকা এরিকসনের হাতে তুলে দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে যেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয় ঋণদাতাদের। যদিও এ ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে ঋণদাতারা। ১৯ মার্চের মধ্যে এরিকসনের পাওনা মেটানোর কথা আর-কমের। এই অবস্থায় বিএসএনএল আইনি প্রক্রিয়া শুরু করলে নতুন চাপে পড়বে তারা।