প্রতীকী ছবি।
ইন্টারনেট পরিষেবার চাহিদা সারা দেশেই সাম্প্রতিককালে বিপুল ভাবে বেড়েছে। আবার বহু গ্রামীণ এলাকায় চাহিদা থাকলেও সেই পরিকাঠামো এখনও কার্যত নেই। সেই খামতি দূর করতে শহরাঞ্চলের মতো গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকাতেও আমজনতার জন্য ওয়াইফাই হটস্পট (পাবলিক ডেটা অফিস) গড়তে বিশেষ প্রকল্প (পিএম ওয়াইফাই অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস) চালু করেছে কেন্দ্র। প্রকল্পটির আওতায় অন্যান্য সার্কলের মতো এ রাজ্যে বিএসএনএলের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলও কিছু গ্রামে সেই পরিষেবা চালু করেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আয়ের একাংশ ভাগাভাগি করে এই পরিষেবা দিচ্ছে সংস্থাটি। কেন্দ্রের দাবি, এই উদ্যোগের ফলে স্থানীয়দের অনেকেই এই পরিষেবা দিয়ে স্বনির্ভর হতে পারবেন।
বিমানবন্দর বা রেলওয়ে স্টেশনে পাবলিক ওয়াইফাই পরিষেবা জনপ্রিয়। করোনাকালে ইন্টারনেটের চাহিদা শহর-গ্রাম, সব জায়গায় বেড়েছে। কিন্তু গ্রামীণ এলাকায় এখনও নেট পরিকাঠামো দুর্বল। মনমোহন জমানার পরে নরেন্দ্র মোদীর আমলেও ভারত নেট প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে ইন্টারনেট সংযোগের পরিকল্পনা করে কেন্দ্র। এ বার যে সমস্ত গ্রামীণ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা অমিল কিংবা দুর্বল, মূলত সেখানে পাবলিক হটস্পট গড়ার প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র।
বিএসএনএলের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের পিজিএম (কলকাতা বিজ়নেস এরিয়া) এস কে দেব এবং জিএম (খড়্গপুর বিজ়নেস এরিয়া) মানিক প্রামাণিক জানান, গত নভেম্বরের শেষ থেকে এখনও পর্যন্ত কয়েকটি গ্রামে এই পরিষেবা চালু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ের কাছে বসুধা, রঘুনাথপুর ও অনুরাগপুর, বীরভূমের খয়রোশোলের কাছে বড়রা, পূর্ব বর্ধমানের রানীবাঁধ, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের কাছে কাকগেছিয়া, হুগলির ধনেখালির কাছে হাজিপুর, মালদহের চাঁচলের তারাতলা মোড়। আগামী মার্চের মধ্যে আরও ৪০টি গ্রামে তা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। মানিকবাবু জানান, তমলুকের কাকগেছিয়ায় এই পরিষেবায় মানুষ এখন সার্বিক ভাবে দৈনিক গড়ে ২৪ জিবি ডেটা ব্যবহার করছেন। ক্যালকাটা টেলিফোন্স এলাকায় এ রকম ১২৩টি ওয়াইফাই হটস্পট রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানান, পরের অর্থবর্ষে তা আরও বাড়বে।