গ্রাহক কমে যাওয়া ঠেকাতে বাড়তি সুবিধা বিএসএনএলে

বিএসএনএল-এর ল্যান্ডলাইন ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের খামতি নেই। অনেকেই তাই রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থার সংযোগ ছেড়ে দিয়ে বেসরকারি সংস্থার দিকে ঝোঁকেন। গ্রাহক কমে যাওয়া ঠেকাতে তাই এ বার নড়েচড়ে বসল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। ল্যান্ডলাইন ও ব্রডব্যান্ডের গ্রাহকদের জন্য কিছু বাড়তি সুবিধার কথা ঘোষণা করল তারা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৪ ০১:৪১
Share:

বিএসএনএল-এর ল্যান্ডলাইন ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের খামতি নেই। অনেকেই তাই রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থার সংযোগ ছেড়ে দিয়ে বেসরকারি সংস্থার দিকে ঝোঁকেন। গ্রাহক কমে যাওয়া ঠেকাতে তাই এ বার নড়েচড়ে বসল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। ল্যান্ডলাইন ও ব্রডব্যান্ডের গ্রাহকদের জন্য কিছু বাড়তি সুবিধার কথা ঘোষণা করল তারা।

Advertisement

বি এস এন এল জানিয়েছে, জেনারেল প্ল্যান/ওয়ান ইন্ডিয়া প্ল্যান-এ তাদের ল্যান্ডলাইন ফোন থেকে অপর একটি বিএসএনএল ফোনে (লোকাল কল) এখন মাসে ১৯৫টি কল বিনামূল্যে করা যাবে। আগে এটি ছিল মাত্র ২৫।

এ দিকে, সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, রাজ্যসভায় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ সম্প্রতি জানিয়েছেন, অডিট করার আগে ২০১৩-’১৪ সালে বিএসএনএল-এর ল্যান্ডলাইন ব্যবসায় লোকসান হয়েছে ১৪,৯৭৯ কোটি টাকা। আর সংস্থার মোট ক্ষতির পরিমাণ ৭০৮৫ কোটি টাকা।

Advertisement

অন্য দিকে, ব্রডব্যান্ড পরিষেবায় মাসে ৬৭৫ টাকার (কর বাদে) একটি বিশেষ প্রকল্পও (বিবি হোম কম্বো ইউএল৬৭৫) চালু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। ক্যালকাটা টেলিফোন্স-এর অন্যতম জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার সিংহ জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে গ্রাহক সর্বদা ৫১২ কেবিপিএস স্পিডে ‘আনলিমিটেড’ পরিষেবা পাবেন। অন্যান্য চালু প্রকল্পে একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় এই স্পিড পাওয়া যায়। সেই মাত্রা শেষ হয়ে গেলে অবশ্য পরিষেবার গতি কমে যায়। কিন্তু কম্বো প্রকল্পে সব সময়েই ওই স্পিড মিলবে।

অন্য দিকে, আগে রাতে কিছক্ষণের জন্য বিনামূল্যে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা দিত বিএসএনএল। গত ১ জুলাই থেকে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে তারা। গ্রাহকদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে আগাম কোনও বার্তা না-দেওয়ায় অনেকেরই তা জানা ছিল না। ফলে তাঁদের মাসের শেষে চড়া বিল গুনতে হবে। অসীমবাবুর অবশ্য দাবি, যে-গ্রাহকদের মোবাইল ফোন রয়েছে তাঁদের এসএমএস করে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। এ ছাড়া সংস্থার ওয়েবসাইট ও সংবাদপত্রেও এ নিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তবে বিজ্ঞাপন যেহেতু ৬ জুলাই দেওয়া হয়েছিল, তাই ১ জুলাই থেকে সে দিন পর্যন্ত মাসুল ছাড়ের বিষয়টি ‘কেস টু কেস’ ভিত্তিতে তাঁরা বিবেচনা করতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement