প্রতীকী ছবি।
৪জি পরিষেবা চালু করতে না-পারা, কর্মীদের বেতনে দেরি-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিল বিএসএনএলের সমস্ত ইউনিয়ন ও অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ মঞ্চ এইউআইএবি। সম্প্রতি তাদের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটির কর্তৃপক্ষ দ্রুত সেই সমস্ত ঘাটতি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি যখন ৫জি স্পেকট্রামের মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে, তখন বিএসএনএল ৪জি-ই চালু করতে পারেনি। পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের সময়েই আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, দ্রুত তা চালু করা হবে। কিন্তু তা হয়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এর ফলে টেলিকম পরিষেবার বাজারে আরও পিছিয়ে পড়ছে সংস্থাটি। এইউআইএবির দাবি, বৈঠকে সংস্থার সিএমডি এবং পরিচালন পর্ষদের কর্তারা জানিয়েছেন, ৪জি পরিষেবার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দ্রুত জোগান দেওয়ার চেষ্টা করছে টিসিএস। চণ্ডীগড় এবং আম্বালায় সেই পরিষেবার পরীক্ষা চলছে।
বেতন বণ্টনের প্রশ্নে কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, দেওয়ালির আগেই অক্টোবরের বেতন দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নভেম্বরের বেতন মাসের শেষেই দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা বাঁধা হয়েছে। ডিসেম্বরের বেতন সামান্য দেরিতে হলেও জানুয়ারি থেকে আর তা হবে না। পাশাপাশি, ১০%-১২% নতুন নিয়োগ ধরে সংস্থার মানবসম্পদের পুনর্গঠনে সায় দিয়েছে পর্ষদ। সে ক্ষেত্রে এগ্জ়িকিউটিভ এবং নন-এগ্জ়িকিউটিভ মিলিয়ে সংস্থার কর্মী সংখ্যা দাঁড়াবে ৭১,০০০।