প্রতিদ্বন্দ্বী বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি যখন ৪জি পরিষেবা নিয়ে একে অপরের সঙ্গে টক্কর নিতে তৈরি, সেই দৌড়ে অনুপস্থিত ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বিএসএনএল। কিন্তু ক’দিন আর প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে থাক সম্ভব? তাই ছোট করে নিজেদের কর্মীদের একাংশের জন্য চণ্ডীগড়ে কার্যত পরীক্ষামূলক ভাবে সেই পরিষেবা চালু করল তারা।
সংস্তাটির সিএমডি অনুপম শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘‘এই পরিষেবা বাণিজ্যিক ভাবে চালু হয়নি। বিএসএনএল-এর কিছু কর্মীর জন্য এটি চালু হয়েছে। তবে এই পরিষেবার অভিজ্ঞতা পেতে হলে গ্রাহকেরা ৪জি কেন্দ্রে গিয়ে তা দেখতে পারেন।’’ স্থানীয় বিজ্ঞাপনে সংস্থাটি দাবি করেছে, ব্রডব্যান্ডের মতোই ১০০ এমবিপিএস গতি মিলবে মোবাইলের এই পরিষেবায়। তবে কলকাতা সহ ছ’টি সার্কেল বাদে দেশের অন্য সার্কেলগুলিতে ৪জির স্পেকট্রাম রয়েছে বিএসএনএল-এর।
শ্রীবাস্তব জানান, তাঁরাই প্রথম ২৫০০ মেহাগার্ৎজ ব্যান্ড-এ ৪জি পরিষেবা চালু করবেন। আগামী মাসেই তাঁরা এই পরিষেবা চালুর জন্য দরপত্র আহ্বান করবেন। উল্লেক্য, দরপত্রের ভিত্তিতে নির্বাচত সংস্থা পরিকাঠামোর দায়িত্বে থাকবে। সেই সংস্থার সঙ্গে আয়ের ভাগ করে নেওয়ার ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে ব্যবসা করবে বিএসএনএল।
তবে রিলায়্যান্স জিও-র পরিকাঠামো ব্যবহার করেও ৪জি পরিষেবা দেওয়ার কথা ভাবছে বিএসএনএল। সিএমডি বলেন, ‘‘এ নিয়ে আমরা কিছু পরীক্ষাও করেছি। ওরা ওদের গ্রাহকদের ২জি এবং ৩জি পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমাদের পরিকাঠামো ব্যবহার করবে। আমরা আমাদের ৪জি পরিষেবার জন্য ওদের পরিকাঠামো ব্যবহার করব।’’ কিছু প্রযুক্তিগত বিষয়ের সমাধান হলে শীঘ্রই তাঁরা বিষয়টি চূড়ান্ত করার কথা ভাববেন। তবে গোটাটাই নির্ভর করবে টেলিকম মন্ত্রকের ছাড়পত্রের উপর।