যত জন নতুন সংযোগ নেবেন, তার চেয়ে অনেক বেশি ছেড়ে দেবেন। গত কয়েক বছরে এটাই ছিল বিএসএনএলের মোবাইল পরিষেবার দস্তুর। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, সেই ছবি এ বার বদলেছে। সংস্থা ছেড়ে যাওয়া গ্রাহকের তুলনায় অন্য সংস্থা থেকে প্রায় চার গুণ বেশি নতুন গ্রাহক টেনেছে বিএসএনএল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, পরিষেবার মান বাড়িয়ে ও মান্ধাতার আমলের বিপণন কৌশল ঝেড়ে ফেলেই এই সাফল্য। বিশেষ করে রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স (আর-কম) ও টাটা টেলিসার্ভিসেসের পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্তের পরে প্রতিযোগিতার দৌড়ে এগোতে বাড়তি উদ্যম নিয়ে মাঠে নামেন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির কর্মী-অফিসারেরা। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, তাতেই হাতে হাতে ফল মিলেছে।
সংস্থা সূত্রের দাবি, মাস দুয়েক আগেই বিএসএনএলের শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্স সার্কেল (ক্যালটেল) এই সাফল্য পেয়েছে। আর, চলতি নভেম্বরে রাজ্যে তাদের অপর শাখা ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলও একই ভাবে বাড়িয়েছে গ্রাহক সংখ্যা। সব মিলিয়ে তা ঊর্ধ্বমুখী নতুন গ্রাহক টানার প্রতিযোগিতায়। ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত হিসেবে ক্যালটেলের প্রায় ২,৪০০ জন গ্রাহক বিএসএনএল ছেড়ে গেলেও অন্য সংস্থার ১৭,৬০০-রও বেশি গ্রাহক পেয়েছে তারা। আর ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলে ৪,৪৬০ জন বিএসএনএল সংযোগ ছাড়লেও অন্যান্য সংস্থার ৮,৭৯২ জন গ্রাহক পেয়েছে তারা।
ওই সূত্র জানিয়েছেন, ক্যালটেল চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত ১৪,২০৪ জন আর-কম ও ৯৬৪ জন টাটা গ্রাহকের কাছ থেকে বিএসএনএল সিম নেওয়ার আবেদন পেয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলে তা যথাক্রমে ৪,০০৬ ও ১৬১ জন।
যেখানে গ্রাহক বেশি, সাধারণত সেই সব অঞ্চলেই বাড়তি টাওয়ার বসায় টেলিকম সংস্থাগুলি। নতুন বিপণন কৌশল হিসেবে বিএসএনএল তাই আর-কম ও টাটা ডোকোমো-র টাওয়ার চিহ্নিত করে, সেই সব এলাকায় বেশি করে ‘সিম’ বিক্রির অস্থায়ী শিবির চালু করেছে, জানিয়েছেন ক্যালটেলের জিএম (বিপণন) এস এন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কেলের জিএম (বিপণন) এম সি প্রামাণিক।