প্রতীকী ছবি।
উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্রের আর্দ্র নোনা বাতাসে সেতুর মতো ইস্পাতের বিভিন্ন কাঠামোর বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। সেই ক্ষতি এড়াতে এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমাতে স্টেনলেস স্টিলের (মরচে নিরোধক ইস্পাত) ব্যবহার বাড়ছে দেশে। সেই চাহিদার সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগাতে এ বার মাঠে নামল এ রাজ্যে রেলের অধীনে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ব্রেথওয়েট। স্টেনলেস স্টিলের ফুটওভার ব্রিজ, রোড ওভার ব্রিজ, স্কাইওয়াক তৈরির কাজে হাত দিচ্ছে তারা। এ জন্য ইতিমধ্যেই চুক্তি করেছে বেসরকারি সংস্থা জিন্দল স্টেনলেসের সঙ্গে। সম্প্রতি দিল্লিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক রেল সরঞ্জাম প্রদর্শনীতে সমঝোতাপত্র সই হয়েছে দু’পক্ষের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সারা দেশে রেলের প্রায় ১.৩৫ লক্ষ সেতুর মধ্যে অন্তত ২৫ শতাংশের বয়স প্রায় ১০০ বছরের কাছাকাছি। সেগুলি বদলের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া, নতুন করে ১১০০ ফুট ওভার ব্রিজ তৈরির বরাতও দেওয়া হয়েছে। রেল সূত্র জানিয়েছে, মুম্বইয়ের ভায়ান্দরে দেশের প্রথম স্টেনলেস স্টিলের ফুট ওভার ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। আগামী বছর চালু হওয়ার কথা। ব্রেথওয়েট কর্তাদের দাবি, ওই সমস্ত ক্ষেত্রে আগামী দিনে স্টেনলেস স্টিলের ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। যে কারণে জিন্দল স্টেনলেসের সঙ্গে চুক্তিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলছেন তাঁরা। চুক্তি অনুযায়ী, ওই সংস্থাটি সেতু তৈরির জন্য বিশেষ গুণমানের স্টিলের পাত এবং প্লেট সরবরাহ করবে ব্রেথওয়েটকে।
হাওড়া ব্রিজ, বিদ্যাসাগর সেতু, জুবিলি ব্রিজ, পটনার গঙ্গা সেতু ইত্যাদি তৈরির ক্ষেত্রে ব্রেথওয়েটের অবদান রয়েছে। ভবিষ্যতে রাজ্য ছাড়াও সারা দেশে ফুট ওভার ব্রিজ, রেল ওভার ব্রিজ, স্কাইওয়াক তৈরির ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চায় তারা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জ্যোতিষ কুমার বলেন, ‘‘সেতু ও ওয়াগন তৈরির ক্ষেত্রে ব্রেথওয়েটের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। সেতুর কার্যকারিতা বাড়ানো নিয়ে নিরন্তর কাজ করছে আমাদের সংস্থা। জিন্দলদের সঙ্গে চুক্তি উন্নত মানের কাঁচামাল পেতে সাহায্য করবে।’’
জিন্দল স্টেনলেসের ডিরেক্টর বিজয় শর্মা বলছেন, ‘‘ওয়াগন তৈরির ক্ষেত্রে ব্রেথওয়েটের সঙ্গে আগে থেকেই কাজ করছি। নতুন এই চুক্তি সেতু-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরিতেও পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করবে।’’