প্রতীকী ছবি।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটি সোমবার বৈঠকে বসতেই তিন বছরে সর্বোচ্চ হয়ে গেল বন্ডের আয় বা ইল্ড। দশ বছরের মেয়াদের সরকারি ঋণপত্রে তা হল ৭.৫%। ২০১৯ সালের পরে যা সব থেকে বেশি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আরবিআই গত মাসে সুদের হার বাড়ানোর পরে ইল্ড বাড়ছিলই। কমিটির বৈঠকে তা আরও বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হতে পারে, এই আশঙ্কা ইল্ডকে আরও ঠেলে তুলেছে। কাল ঋণনীতির পর্যালোচনায় সুদের হার (রেপো রেট, যে সুদ ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দেয় তারা) নিয়ে তাদের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করবে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। উল্লেখ্য, মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে গত মাসে তা ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছিল। বিভিন্ন মহলের ধারণা, এ বার সুদের হার ৪০ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
মূলধনী বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর দাবি, “রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ বাড়ানোয় বাজারে বেশি কুপন রেটের (সুদ) বন্ড আসবে। যাঁদের হাতে কম কুপন রেটের বন্ড রয়েছে, তাঁরা সেগুলি বেচে বেশি রেটের কিনবেন। ফলে এক দিকে পুরনো বন্ডের বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে সার্বিক ভাবে তার দাম কমবে। অন্য দিকে লগ্নিকারীরা বেশি কুপন রেটেরগুলি কিনে আয় বৃদ্ধির সুযোগ পাবেন।’’
বন্ডের ইল্ড কখন কমে-বাড়ে? বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ‘‘বন্ডের দাম ওঠানামা করলেও কুপন রেট একই থাকে। ধরুন, কেউ বছরে ১০% কুপন রেটে ১০০ টাকা দামের একটি বন্ড কিনেছেন। অর্থাৎ ১০০ টাকা লগ্নি করে আয় হচ্ছে ১০ টাকা। এ বার ওই বন্ডের দাম কমে যদি ৯০ টাকা হয়ে যায়, তা হলে ৯০ টাকা লগ্নি করে আয় হবে ১০ টাকা। অর্থাৎ ইল্ড বাড়ল বন্ডের। উল্টোটা হলে কমবে ইল্ড।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।