নোট নাকচের পরে জমা পড়া সংশোধিত আয়কর রিটার্নে এ বার ‘চিরুনি তল্লাশি’ শুরুর নির্দেশ দিল প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ। বিশেষ করে ওই পরিবর্তিত রিটার্নে আয়ের হিসেব-নিকেশ আমূল বদলে ফেললে আয়কর দফতরের তদন্তের জাল এড়াতে পারবেন না সংশ্লিষ্ট আয়কর-দাতা। হিসেবে গরমিল পেলে ও কালো টাকা ধরা পড়লে ‘বাড়তি হারে কর’ আদায়ের নির্দেশও দিয়েছে পর্ষদ।
প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ জানিয়েছে, ‘‘আয়কর আইনের ১১৫বিবিই ধারায় উঁচু হারে কর বসানো যাবে। ব্যবসায়ী -দের ক্ষেত্রে লোকসান বা বাড়তি খরচ দেখালেও সুরাহা মিলবে না।’’ আরও বলা হয়েছে, ব্যবসায়ী তাঁর ওই বাড়তি আয় বিক্রি খাতে ঘরে এসেছে বলে দাবি করলে আয়কর দফতর দেখবে, পরোক্ষ কর জমা বাবদ দাখিল করা রিটার্নের সঙ্গে তার সামঞ্জস্য রয়েছে কি না। তাই পরীক্ষা করা হবে কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্ক/ ভ্যাট সংক্রান্ত রিটার্ন।
লুকোনো টাকা ধরতে
• নোটবন্দির পরে সংশোধিত রিটার্ন জমা দিলে আয়কর তদন্ত
• কালো টাকার হদিস মিললেই বাড়তি হারে কর
• ব্যবসায়ী বিক্রি খাতে বাড়তি আয় দেখালে মেলানো হবে উৎপাদন শুল্ক/ভ্যাট সংক্রান্ত রিটার্নের সঙ্গে
সংশোধনের আইনি সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে কেউ যাতে কালো টাকা সাদা করতে না-পারেন, তাই এই নির্দেশ। ইতিমধ্যেই এ ধরনের সন্দেহজনক ২০ হাজার রিটার্ন আয়কর অফিসারদের তদন্তের জালে এসেছে, খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রে।
আগেও এ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পর্ষদ। বলেছিল, সংশোধনের সুযোগ নিয়ে রিটার্নে দাখিল করা হিসেব পুরোপুরি বদলালে তা পরীক্ষা করা হবে ও মামলা রুজু করে প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, আয়কর আইনের আওতায় রিটার্ন নতুন করে জমার নিয়ম রয়েছে কোনও তথ্য বাদ পড়লে তা জানানো বা সাধারণ ভুল সংশোধনের জন্য।