বড় মাপের পতন হল টাকার দামে। ডলারের সাপেক্ষে সোমবার টাকার দর এক ধাক্কায় ২২ পয়সা পড়ে যায়। যার ফলে এ দিন বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬৩.৮০ টাকা।
আমেরিকায় কর্মসংস্থানের সূচক উপরে উঠেছে। যা সে দেশের আর্থিক উন্নয়েনর ইঙ্গিত হিসাবেই দেখছেন লগ্নিকারীর। তাঁদের আশা, দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটলে আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বাড়াতে পারে। এই ধারণার জেরে এ দিন বিশ্ব জুড়েই বেড়ে যায় ডলারের দাম, যার প্রভাব ভারতেও এসে পড়েছে।
এ দিন মোটামুটি স্থিতাবস্থা বজায় ছিল শেয়ার বাজারে। তবে অল্প হলেও পড়েছে শেয়ার সূচক। সেনসেক্স আগের দিনের থেকে ৫১.৭৪ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২,২৭৩.৬৭ অঙ্কে। অন্য দিকে ৯ পয়েন্ট পড়ার পরে নিফ্টি থিতু হয় ১০,০৫৭.৪০ অঙ্কে।
বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিকে এ দিন ভারতের বাজারে বিক্রেতার ভূমিকায় দেখা যায়। তারা এ দিন শেয়ার বিক্রি করেছে ৮৫৩.৮০ কোটি টাকার। তবে তারা মোটা অঙ্কের শেয়ার বিক্রি করার ফলে সূচকের বড় মাপের পতনের যে-সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল, তা রুখে দিয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড-সহ ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলির লগ্নির বহর। এ দিন ওই সব সংস্থা ভারতের বাজারে ১,০১৭.১০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।