ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যে দূষণহীন জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস জোগানোর কথা গেলের। তবে তাদের পাইপলাইন তৈরি না-হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি এসারের থেকে কোল বেড মিথেন (সিবিএম) কিনে সরবরাহ করবে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানিকে (বিজিসিএল)। যারা কলকাতা-সহ কিছু জেলায় তা বিক্রি করবে। তারই সূচনা হল শুক্রবার। এসার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশনের রানিগঞ্জের পূর্ব সিবিএম ব্লক থেকে উত্তোলিত সেই সিবিএম এসে পৌঁছল কলকাতায়। তবে এখনই সাধারণ ক্রেতা তাঁদের গাড়ির জ্বালানি হিসেবে এই গ্যাস কিনতে পারবেন না। আগে সিএনজি স্টেশনে তা ভরা যাচ্ছে কি না অথবা তাতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, তার পরীক্ষা হবে। তবেই শুরু হবে বাণিজ্যিক বিক্রি।
কলকাতা ও সংলগ্ন কয়েকটি জেলার কিছু অংশে এই প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির বরাত পেয়েছে গেল এবং গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাইয়ের যৌথ উদ্যোগ বিজিসিএল। আপাতত গড়িয়া ও রাজারহাটের দু’টি পাম্পে সিএনজি স্টেশন গড়েছে সংস্থাটি। আগামী দিনে আরও বেশ কিছু জায়গায় তা গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
সংস্থা সূত্রের খবর, এ দিন কাসকেড ট্রাকে করে প্রায় ৭৫০ কেজি সিবিএম গ্যাস এসার পাঠিয়েছে, তা গড়িয়ার সিএনজি স্টেশনে ভরে সেটি পরীক্ষামূল ভাবে চালু করে দেখা হবে যে পুরো ব্যবস্থাটি ঠিক মতো চলছে কি না। এতে কয়েক দিন সময় লাগবে। সব কিছু ঠিক থাকলে তারপর রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের ওজন ও পরিমাপ বিভাগ ওই স্টেশনের মিটার পরীক্ষা করে দেখে ছাড়পত্র দেবে। তারপর সেখান থেকে বাণিজ্যিক ভাবে সিএনজি বিক্রি শুরু করা যাবে।
সংশ্লিষ্ট মহলের আশা, ফেব্রুয়ারিতেই গড়িয়ায় বাণিজ্যিক বিক্রি চালু হতে পারে। এর পরের ধাপে একই ভাবে রাজারহাটের সিএনজি স্টেশনে গ্যাস আনা হবে এবং একই পদ্ধতিতে সেটির পরীক্ষামূলক ভাবে কমিশন করা হবে। সব ঠিক থাকলে পরের ধাপগুলি সেরে এ ভাবেই এগোবে বিজিসিএল। শুক্রবার এসারের সিইও সন্তোষ চন্দ্রের দাবি, শহরে দূষণহীন জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে সাহায্য করবে এই সিবিএম।
তবে এখনই পাইপের মাধ্যমে বাড়িতে বা শিল্পের জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলবে না। উত্তরপ্রদেশ থেকে গেলের পাইপলাইনে যখন সেই গ্যাসের সরবরাহ শুরু হবে, তখন ওই দু’টি পরিষেবা চালু হবে বলে খবর সংশ্লিষ্ট মহলের।