জমি বেচে ঋণমুক্তিই পাখির চোখ বিসিপিএলের

দীর্ঘ ছ’দশক পরে হালে লাভের মুখ দেখেছে বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস (বিসিপিএল)। তারপরে এ বার ঘাড় থেকে দেনার দায় নামানোকে পাখির চোখ করছে শতাব্দীপ্রাচীন সংস্থাটি। সংস্থার পানিহাটি কারখানার উদ্বৃত্ত জমি বিক্রি করে চলতি অর্থবর্ষেই সেই লক্ষ্যপূরণে আশাবাদী তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৭ ০৩:১১
Share:

দীর্ঘ ছ’দশক পরে হালে লাভের মুখ দেখেছে বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস (বিসিপিএল)। তারপরে এ বার ঘাড় থেকে দেনার দায় নামানোকে পাখির চোখ করছে শতাব্দীপ্রাচীন সংস্থাটি। সংস্থার পানিহাটি কারখানার উদ্বৃত্ত জমি বিক্রি করে চলতি অর্থবর্ষেই সেই লক্ষ্যপূরণে আশাবাদী তারা।

Advertisement

একই সঙ্গে, বাজার দখলের লক্ষ্যে নিজেদের বিক্রি ও বিপণন কৌশলও ঢেলে সাজছে বিসিপিএল। পা বাড়াচ্ছে নেট বাজারের দিকে। যেমন, নিজেদের ‘হোম কেয়ার’ পণ্য বিক্রি করতে সম্প্রতি ‘বিগ বাস্কেট’-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তারা। যারা নেটে বরাত নিয়ে মুদিখানার জিনিসপত্র ক্রেতার দরজায় পৌঁছে দেয়। শনিবার এই দু’টি কথাই জানিয়েছেন সংস্থার কার্যনির্বাহী এমডি পি এম চন্দ্রাইয়া।

২০১৬-’১৭ সালে ৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে বিসিপিএল। মিটিয়েছে ব্যাঙ্ক-ঋণের অর্ধেক। কিন্তু বাকি অর্ধেকের পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছেও তাদের ধার রয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। যার জন্য বছরে ২১% সুদও গুনতে হয়। এই বোঝা নামাতেই জমি বিক্রির ভাবনা।

Advertisement

আর্থিক হাল ফেরাতে পানিহাটি কারখানার ২৫.০৭ একর বাড়তি জমি বিক্রির জন্য সংস্থার আর্জিতে সম্প্রতি সায় দিয়েছিল কেন্দ্র। এ জন্য দরপত্র চাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জমি অনলাইনে নিলাম করে বিক্রি হবে। পুরো ব্যবস্থার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় সংস্থা এমএসটিসি। চন্দ্রাইয়ার আশা, জুলাইয়ের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ হবে। তার দৌলতে কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে এ বছরের মধ্যেই ২১৩ কোটি টাকা ঋণ মিটিয়ে দায় কমাতে পারবেন তাঁরা। কমবে সুদ বাবদ খরচও। উল্লেখ্য, বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী, ওই জমি বেচে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আয়ের আশা করছে সংস্থা। আশা করছে ২০১৭-’১৮ সালে সব মিলিয়ে ১০ কোটি টাকা নিট মুনাফা হবে বলেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement