এক লাফে সরাসরি বৈদ্যুতিক নয়। তার আগে কিছু দিন হাত থাকুক ‘হাইব্রিড’ গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে।
২০৩০ সাল থেকে দেশের রাস্তায় পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর কথা বলেছিলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু গাড়ি শিল্পের বক্তব্য, এই সময়সীমার মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরি করা কার্যত অসম্ভব। আপাতত কয়েক বছর হাইব্রিড গাড়ির উপরে জোর দিক কেন্দ্রীয় সরকার। তবেই বৈদ্যুতিক গাড়ির পথে উত্তরণ সহজ হবে। প্রসঙ্গত, হাইব্রিড গাড়ি পেট্রল ও বিদ্যুৎ, দু’টিতেই চলে।
হোন্ডা মোটর ইন্ডিয়ার কর্তা রাজেশ গয়ালের বক্তব্য, ‘মাইলেজ’ (এক লিটার তেলে গাড়ি যত পথ যায়) যেমন প্রচলিত গাড়ির গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি, বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে তা ‘অ্যাভারেজ ইলেকট্রিক রেঞ্জ’। অর্থাৎ, এক বার চার্জ দিলে গাড়ি কতটা পথ যেতে পারে। কিন্তু চার্জিং স্টেশনের অপ্রতুলতার জন্য অনেকেই ভাবেন, গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই যদি চার্জ শেষ হয়ে যায়! সেই শঙ্কাই এমন গাড়ির চাহিদায় প্রভাব ফেলে।
সম্প্রতি রাজেশ ও টয়োটা কির্লোস্কর মোটরের কর্তা রাজু কেটকালে কলকাতায় এসে বলেন, বৈদ্যুতিক গাড়ির আগে হাইব্রিড গাড়িকে উৎসাহ দেওয়া হোক। ব্যাটারি, মোটর ও কন্ট্রোল ইউনিটের মতো যন্ত্রাংশগুলি উভয় গাড়িতেই থাকে। ফলে হাইব্রিড গাড়ির চাহিদা বাড়লে ধীরে ধীরে চার্জিং স্টেশনের মতো পরিকাঠামো তৈরি হবে।
রাজেশের আরও বক্তব্য, ‘‘প্রচলিত পেট্রল, ডিজেল গাড়ি তৈরির জন্য সংস্থাগুলি ইতিমধ্যে পরিকাঠামোয় বড় লগ্নি করেছে। ফলে আপাতত হাইব্রিড গাড়ি তৈরি করলে সেই লগ্নি পুরোপুরি জলে যাবে না। হাইব্রিড প্রযুক্তির মাধ্যমে লগ্নিতে ভারসাম্য রাখা সহজ হবে।’’
উল্লেখ্য, প্রচলিত গাড়ির চেয়ে দামি হওয়ায় চাহিদা বাড়াতে হাইব্রিড গাড়ির উপর আগে আর্থিক সুবিধা দিত কেন্দ্র। এ বছর থেকে সেই সুবিধা বন্ধ হয়েছে। ফলে সেগুলির বিক্রি কমেছে। অথচ সংস্থাগুলি ওই প্রযুক্তির জন্য ইতিমধ্যে বহু কোটি টাকা লগ্নি করেছে। ফলে স্পষ্ট নীতি ছাড়া নতুন পথে এগোতে কিছুটা দ্বিধায় তারা।