প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রের ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোমবার ও মঙ্গলবার সারা দেশে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ওই শিল্পের কর্মী এবং অফিসারদের ন’টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস (ইউএফবিইউ)। আর ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ। বস্তুত, শনিবার থেকে টানা চার দিন পরিষেবা পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এ বারের ধর্মঘটে ভাল রকম ব্যাহত হতে পারে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। বিশেষ করে এটিএম বন্ধ থাকায় নগদের সমস্যা হতে পারে সাধারণ মানুষের। স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অবশ্য জানিয়েছে, আজ, রবিবার গ্রাহকেরা যাতে এটিএম থেকে টাকা তুলে রাখতে পারেন, তার জন্য অতিরিক্ত টাকা ভরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বারের ধর্মঘটের আওতায় রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পাশাপাশি বেসরকারি, বিদেশি, গ্রামীণ এবং সমবায় ব্যাঙ্কগুলি। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মীরা ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছেন না। তবে ওই দু’দিন অফিসের গেটে প্রতিবাদ সভা হবে বলে জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সমীর ঘোষ। অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন এআইবিআরএফের সভাপতি অমল ঘোষ জানান, ধর্মঘটকে সমর্থনে কর্মসূচি নিয়েছেন তাঁরাও। এই প্রেক্ষিতে অনেকে মনে করছেন, কৃষক আন্দোলনের ধাঁচে টানা প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে ট্রেড ইউনিয়নগুলি।
এ দিন ইউএফবিইউ-র আহ্বায়ক গৌতম নিয়োগী বলেন, ‘‘এত দিন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কম পক্ষে ৫১% শেয়ার নিজেদের হাতে রেখে বিলগ্নিকরণ করত সরকার। এ বার পুরো ব্যাঙ্কই বেসরকারি উদ্যোগপতিদের হাতে তুলে দিতে চাইছে।’’ ব্যাঙ্ক অফিসারদের সংগঠন আইবকের যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জয় দাসের কথায়, ‘‘এই ধর্মঘটে সরকারের টনক না-নড়লে আরও বড় মাপের আন্দোলন হতে পারে।’’ ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ এবং আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি কামারুজ্জামান কামার বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারিকরণ হলে বহু কর্মী ছাঁটাই হবেন। এটা সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করবে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারি উদ্যোগের হাতে গেলে গ্রাহকেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ’’