Bank

ভিড় সামলাতে রাজ্যের দ্বারস্থ ব্যাঙ্কগুলি

কলকাতা ও বিধাননগরের আঞ্চলিক সদর দফতর-সহ বিভিন্ন শাখায় করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন স্টেট ব্যাঙ্কের সাড়ে তিনশোরও বেশি কর্মী।

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২০ ০৪:২২
Share:

—ফাইল চিত্র।

বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কর্মীদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের ভিড় সামলাতে ও ব্যাঙ্ক কর্মীদের নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে রাজ্যকে চিঠি দিল স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটি (এসএলবিসি)। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্কে কাজের সময় কমানো নিয়েও রাজ্যের সাহায্য চেয়েছে তারা।

Advertisement

কলকাতা ও বিধাননগরের আঞ্চলিক সদর দফতর-সহ বিভিন্ন শাখায় করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন স্টেট ব্যাঙ্কের সাড়ে তিনশোরও বেশি কর্মী। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কলকাতার নার্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে এজিএম পদ মর্যাদার এক আধিকারিকের। ওই দিন বন্ধ রাখতে হয় ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের ডালহৌসি শাখা ও এজেসি বোস রোডে স্টেট ব্যাঙ্কের শাখাও। একাধিক ব্যাঙ্কে এ ভাবে দ্রুত সংক্রমণের ঘটনায় ভীত কর্মীরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাঙ্কে প্রবেশের সময় গ্রাহকদের ‘থার্মাল স্ক্রিনিং’ ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা চাইছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ‘রোস্টার’ তৈরি করে ৫০% কর্মী নিয়ে কম সময় কাজের দাবি করেছে সংগঠনগুলিও। বলা হয়েছে কর্মীদের নিয়মিত করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থার কথাও।

শুক্রবার ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সংগঠন আইবকের রাজ্য শাখার সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, কৃষি ঋণ-সহ নানা সরকারি প্রকল্পের টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই শাখায় ভিড় হচ্ছে। গ্রাহক ও কর্মী, কারও পক্ষেই দূরত্ববিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। এ দিকে ভিড় নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নিরাপত্তারক্ষী নেই। এই অবস্থায় একসঙ্গে অনেক কর্মী সংক্রমিত হলে পরিষেবা ব্যাহত হবে। কর্তৃপক্ষের দাবি, এই কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

করোনা সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি এসএলবিসিকে চিঠি দিয়েছিল আইবক। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ওই চিঠির প্রেক্ষিতেই বিষয়টি স্বরাষ্ট্র সচিবকে জানিয়েছে ব্যাঙ্কার্স কমিটি। সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হলেও সরকারিভাবে এ নিয়ে মন্তব্য করেননি নবান্নের আধিকারিকরা। তবে সূত্র জানাচ্ছে, ব্যাঙ্কে কর্মী সংখ্যা কমানো বা পরিষেবার সময় বাঁধার বিষয়টি রাজ্যের হাতে নেই। তা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক্তিয়ারভুক্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement