প্রতীকী চিত্র।
ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের শিকার হয়েছেন ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরের বহু কর্মী। এ দিকে সরকারি-বেসরকারি, সব ক্ষেত্রেই ৫০% কর্মী হাজিরার নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য। এই অবস্থায় কর্মীদের সুরক্ষার স্বার্থে সেই নির্দেশ দ্রুত কার্যকরের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলির কাছে আর্জি জানাল কর্মী ইউনিয়নগুলি। এ সবের জেরে ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরে কর্মী ঘাটতির ফলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার। কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু পরিষেবা বন্ধেরও অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নগুলির দাবি, এখনই কিছু ব্যবস্থা না-নিলে তা আরও বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
মঙ্গলবার ব্যাঙ্ক অফিসারদের সংগঠন আইবকের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাসের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১০% কর্মী ওমিক্রনে আক্রান্ত। জরুরি ভিত্তিতে কর্মীদের বুস্টার ডোজ়-ও দিতে হবে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে রাজ্যের সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিতে স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটিকে (এসএলবিসি) চিঠি দিয়েছি।’’ কর্মী সুরক্ষার কথা ভেবে আগের মতো বেলা ২টো পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা রাখা এবং পাঁচ দিনের সপ্তাহ চালুর দাবি জানিয়েছেন এই শিল্পের সংগঠন ইউএফবিইউ-র আহ্বায়ক গৌতম নিয়োগী।
তবে অর্ধেক হাজিরা নিয়ে রাজ্যের নির্দেশিকা কার্যকরের জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এবং ডাক বিভাগের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলকে (পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও আন্দামান) আলাদা নির্দেশ দিতে হবে বলে জানিয়েছে কর্মী সংগঠনগুলি। এ জন্য এসএলবিসি ও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে কিছু ইউনিয়ন। এসএলবিসি-র এক কর্তা জানান, তাঁরা ইতিমধ্যেই রাজ্যের সিদ্ধান্ত সব ব্যাঙ্ককে জানিয়েছেন। তবে সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলেও, এখনও পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ রাখা নিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
এ দিকে, ডাকঘরেরও সময়সীমায় কোনও বদল না-হলেও কর্মিবর্গ মন্ত্রক ও রাজ্যের ৫০ শতাংশের হাজিরার নিয়ম মেনে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে কর্মীদের আসার ব্যবস্থা চালুর আর্জি জানিয়েছেন ন্যাশনাল ফেডারেশন অব পোস্টাল এমপ্লয়িজ়ের সাধারণ সম্পাদক জনার্দন মজুমদার ও ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের সম্পাদক অসিত বঙ্গবাস। পাশাপাশি অসিতবাবু জানান, মূলত গ্রামে যে সব ডাকঘরে এক জন করে কর্মী, সেগুলি এক দিন অন্তর খোলা রাখার আবেদন করে সার্কলের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেলকে চিঠি দিয়েছেন। এ ছাড়া সর্বত্রই বায়োমেট্রিক তথ্য নির্ভর কাজগুলি (আধার, আইপিপিবি নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা) বন্ধ রাখা এবং ডাকঘর ও ডাক বিভাগে যথাযথ স্যানিটাইজ়েশন-সহ করোনা প্রোটোকল ঠিক মতো প্রয়োগের আর্জিও জানানো হয়েছে।