ভারতের সঙ্গে সংশোধিত বাণিজ্য চুক্তিতে সায় দিল বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা। এই চুক্তি সই হলে দু’দেশের সড়ক এবং জলপথ ব্যবহার করে তৃতীয় কোনও দেশে পণ্য পাঠানোয় আর বাধা থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার হাত ধরে আঞ্চলিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বহু দিন ধরে ঝুলে থাকা সমস্যার সমাধান হল বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। হাসিনার নয়াদিল্লি সফর অথবা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের সময়েই চুক্তিটি সই হবে বলে মঙ্গলবার জানান বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
এ দিন বাংলাদেশের ক্যাবিনেট সচিব এম মুশারফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি মাইলফলক। এর ফলে ভারতের রেল, সড়ক ও জলপথের মাধ্যমে ভুটান, নেপালে পণ্য সরবরাহে বাধা দূর হল। বাংলাদেশের পরিবহণ ব্যবস্থা ব্যবহার করে মায়ানমারে পণ্য পাঠাতে পারবে ভারতও। দু’দেশই রাজি থাকলে পাঁচ বছর পরে এই চুক্তিই সরাসরি নবীকরণ হবে। পণ্য পরিবহণের খরচ স্থির হবে দু’পক্ষের আলোচনার পরে।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশের জন্মের পরে বাণিজ্য চুক্তি সই হলেও পণ্য সরবারহের বিষয়টি সীমাবদ্ধ ছিল দু’দেশের মধ্যেই। এই চুক্তির সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ৩১ মার্চ।
চুক্তি সই হলে এখন থেকে সরাসরি নেপাল, ভুটান থেকে ট্রাকে বাংলাদেশে পণ্য আনা যাবে। সে জন্য নির্দিষ্ট স্থানে মাল খালাস করে, ফের বাংলাদেশের গাড়িতে তুলতে হবে না।