—প্রতীকী ছবি
করোনার ধাক্কায় বেহাল গাড়ি শিল্পকে কিছুটা ব্যবসা জুগিয়েছে উৎসবের মরসুম। অক্টোবর, নভেম্বরের পরে ডিসেম্বরেও ২০১৯ সালের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে পাইকারি গাড়ি বিক্রি। যেখানে সংস্থাগুলির থেকে কেনেন ডিলারেরা। তবু ধন্দ যাচ্ছে না শিল্পের। যার কারণ, উৎসবের মরসুমে তৈরি হওয়া চাহিদা আগামী দিনেও বহাল থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয়।
অনেকে যেমন আশায় বুক বাঁধছেন, তেমনই কেউ কেউ ২০১৯ সালে করোনা আসার আগেই গাড়ি বিক্রিতে ঝিমুনির কথা মনে করাচ্ছেন। কারণ, গত বছর এপ্রিল থেকে বিএস৪ দূষণ মাপকাঠির গাড়ি বিক্রি বন্ধ হওয়ার কথা থাকায় তার অনেক আগে থেকেই নতুন বিএস৪ গাড়ি কেনা বন্ধ করেছিল ডিলারেরা। তারা শো-রুমে মজুত গাড়ি বিক্রিতে জোর দেওয়ায় সংস্থাগুলির বিক্রি কমছিল। ডিসেম্বরে বিক্রি বৃদ্ধির হার বেশি দেখানোর এটাও কারণ, মত তাদের।
এ বারও দেশে যাত্রী গাড়ির বিক্রি বেড়েছে। মারুতি-সুজ়ুকি (১৯.৫%), মহিন্দ্রা (৩%), হুন্ডাই (২৪.৮৯%), টাটা মোটরস (৮৪%)-সহ প্রায় সকলের। বিক্রি বেড়েছে দু’চাকা, ট্র্যাক্টরেরও। কিন্তু বাণিজ্যিক গাড়ির ব্যবসা বিবর্ণই। অশোক লেল্যান্ডের বিক্রি ১৪% বাড়লেও, কমেছে মহিন্দ্রা, ভিই কমার্শিয়াল, টাটার। গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়ামের প্রাক্তন কর্তা সুগত সেনের মতে, গণপরিবহণ এড়াতে বা খরচ কমায় কমায় অনেকে গাড়ি কিনছেন ঠিকই। কিন্তু বিক্রির ধারাবাহিকতা নিয়ে সংশয় থাকছেই।