প্রতীকী ছবি।
অর্থনীতির ঝিমুনি, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে গাড়ি শিল্প, তখনই ফের তাদের সঙ্কটের মুখে ফেলছে সেমিকনডাক্টর চিপের অভাব। এর জেরে গাড়ি উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছে বহু সংস্থা। কমেছে ডিলারদের কাছে তা সরবরাহের সংখ্যাও। ফলে ৪২ দিনের উৎসবের মরসুমে বিশেষত যাত্রী গাড়ি বিক্রি কমার আশঙ্কায় ভুগছে ডিলাররা। তাদের সংগঠন ফাডার প্রেসিডেন্ট ভিঙ্কেশ গুলাটির বক্তব্য, বছরে মোট বিক্রির প্রায় ৪০% হয় উৎসবের মরসুমে। কিন্তু এ বার চাহিদা মতো গাড়ি পাঠাতে পারছে না সংস্থাগুলি। ফলে বুকিংয়ের পরে হাতে পাওয়ার আগের সময় (ওয়েটিং পিরিয়ড) অনেকটা বেড়েছে। তাই অনেকে গাড়ি কেনা পিছোচ্ছেন। কিছু ক্ষেত্রে বুকিং বাতিলও হচ্ছে।
তা ছাড়া, শো-রুমে এসে প্রায় ৪০% ক্রেতা গাড়ি পছন্দ করে বুকিং (স্পট বুকিং) করেন। কিন্তু জোগানের অভাবে তা প্রায় বন্ধ। গুলাটি জানান, এমনিতে উৎসবে ৪-৪.৫ লক্ষ গাড়ি বিক্রি হয়। এ বছর তা ৩-৩.৫ লক্ষ হলেও ভাগ্য ভাল বলতে হবে। চিপের সমস্যা না-মেটা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশা নেই।
দু’চাকার ক্ষেত্রে আবার জোগান থাকলেও চাহিদা কম। করোনার জেরে গ্রামে আয় কমা যার অন্যতম কারণ বলে জানান ভিঙ্কেশ। তার উপরে এক বছরে দু’চাকার গাড়ির দাম বেড়েছে প্রায় ৩০%। চিন্তা তেলের চড়া দরও।