প্রতীকী ছবি।
অর্থনীতির ঝিমুনির জন্য করোনার বহু আগে থেকেই গাড্ডায় পড়েছিল দেশের গাড়ি শিল্প। টানা কমছিল বিক্রি। পাশাপাশি ভারতে এই শিল্পের নীতির স্থিরতা ও অভিমুখ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তারা। এ বার অতিমারির ধাক্কা কিছুটা কাটিয়ে উঠে ফের দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী নীতির প্রয়োজনীয়তার পক্ষে সওয়াল করছে সংস্থাগুলি। অডি ইন্ডিয়ার শীর্ষ কর্তা বলবীর সিংহ ধিলোঁর যেমন দাবি, স্পষ্ট ভাবে সেই বার্তা পেলে লগ্নি পরিকল্পনাও সহজ হয় সংস্থাগুলির পক্ষে।
বলবীরের আশা, আসন্ন বাজেটে চাহিদা বাড়ানোর রসদ মিলবে। তবে গাড়ি শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি চান তিনি। তাঁর কথায়, হঠাৎ করে নীতি বদলালে গাড়ি তৈরিই ধাক্কা খায়। যেমন, বেশ কিছু যন্ত্রাংশ আমদানির জন্য ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডসের (বিআইএস) ছাড়পত্র জরুরি। কিন্তু ওই সব যন্ত্রাংশ দেশে তৈরি হয় না। এ দিকে করোনার জন্য উড়ান বন্ধ থাকায় বিআইএসের প্রতিনিধি বিদেশে গিয়ে সেগুলি যাচাই করে ছাড়পত্র দিতে পারেননি। তাই অডি এ জন্য বাড়তি সময় চেয়েছে।
আর্থিক কর্মকাণ্ড কিছুটা বাড়ায় ডিসেম্বরে বিক্রি বেড়েছে প্রায় সমস্ত গাড়ি সংস্থার। অডি কর্তার আশা, এ বছর দামি গাড়ির চাহিদাও বাড়বে। তবে সে জন্য এই গাড়ির করের বোঝা লাঘবের দাবি করেছেন তিনি। বলবীর বলেন, জিএসটি-র উপরেও বাড়তি শুল্ক ও সেস বসায় দামি গাড়ির বিক্রি মোট বাজারের মাত্র ১%। তা বাড়াতেই কর কমানো জরুরি।