ফাইল চিত্র।
টানা ১১ মাস কমার পরে পাইকারি বাজারে বেশি বিকিয়েছে সার্বিক যাত্রী গাড়ি। জানাল গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম। অর্থাৎ ভ্যান, ইউভি, যাত্রী গাড়ি মিলিয়ে যে শ্রেণি ধরা হয়, সেগুলি। তবে তা খুবই সামান্য, মাত্র ০.২৮%। শিল্পের একাংশ কিছুটা স্বস্তিতে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলই প্রশ্ন তুলছে, একে কি ব্যবসার সঙ্কটমোচনের ইঙ্গিত ধরা যায়? কারণ, সার্বিক যাত্রী গাড়ি তো আগের মতো সংখ্যায় তৈরি হচ্ছে না। গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় এ বার উৎপাদন কম হয়েছে প্রায় ২১%। শুধু যাত্রী গাড়ি ধরলে, তার বিক্রিতে এখনও ভাটা। বাণিজ্যিক, দু’চাকা ও তিন চাকা, বাকি সব ধরনের গাড়ির বিক্রিও গত বারের চেয়ে এ বারের অক্টোবরে কম হয়েছে। তার উপরে উপদেষ্টা সংস্থা ইক্রা বলেছে, গাড়ির ডিলারদের ব্যবসার দৃষ্টিভঙ্গি নেতিবাচক।
দেশে অর্থনীতির ঝিমুনি নাড়িয়ে দিয়েছে গাড়ি শিল্পের ভিতকে। প্রায় এক বছর নাগাড়ে বিক্রি কমেছে। কাজ হারিয়েছেন কয়েক লক্ষ কর্মী। কাঠগড়ায় চাহিদা ও বাজারে নগদের অভাব, ঋণ পাওয়ার সমস্যা ইত্যাদি। এই অবস্থায় উৎসবের মরসুম ছিল বড় ‘পরীক্ষা’। ইক্রার ভিপি আশিস মোদানির দাবি, চাহিদা কম থাকায় বিপুল ছাড় দিয়ে ভাঁড়ার খালি করছে সংস্থা ও ডিলারেরা। তাঁদের হিসেবে, চলতি অর্থবর্ষে ডিলারদের লাভ পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হবে।
সিয়ামের প্রেসিডেন্ট রাজন ওয়াধেরা অবশ্য বলছেন, ‘‘গত বছরের চেয়ে এ বার উৎসবের মরসুমে বিক্রি একটু ভাল।আশা করব, আগামী দু’মাসেও সেই ধারা বজায় থাকবে’’
শো-রুম থেকে গাড়ি বিক্রির পরে তার হিসেব সরকারি পোর্টাল— ‘বাহনে’ নথিবদ্ধ হয়। সেই তথ্যে অবশ্য দু’বছরের অক্টোবরের হিসেবে বাণিজ্যিক গাড়ি ছাড়া অন্য সব ধরনের গাড়ির খুচরো বিক্রি বেড়েছে। তবে পাইকারি বিক্রির চেয়ে তা বাড়ায় সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, আগের মাসের অবিক্রীত গাড়ির হিসেবও অক্টোবরের খুচরো বিক্রির মধ্যে ধরেছে তারা।